দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন, আবাসনের এফ ব্লকের যে অবিবাহিতরা রয়েছেন, তারা সারা দিনরাত অনলাইনে অর্ডার করছেন তো করছেন। দিনে অন্তত ১০ থেকে ১৫টি ডেলিভারি আসছে ওই ব্লকটিতে!
দিনরাত খালি পার্সেল আসছে তো আসছে। তা নিয়েই নাজেহাল হয়ে উঠেছেন আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী। পার্সেল সংক্রান্ত কাজ নিয়ে এতোই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন যে, নিজের কাজকর্ম সামলানোর জন্য সময় পাচ্ছেন না তারা। বাধ্য হয়ে আবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ জানাতে বাধ্য হয়েছেন নিরাপত্তারক্ষী। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আবাসনের বাসিন্দাদের বিশেষ নির্দেশও দিয়েছেন আবাসন কর্তৃপক্ষ। সেই লিখিত নির্দেশের একটি ছবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
‘শগুন’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স হ্যান্ডলের পাতায় একটি ছবি পোস্ট করা হয়। ছবিটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন যে, ‘‘আবাসন কর্তৃপক্ষরা আসলেও উন্মাদ। আমার ভাই যে বহুতলে থাকে, সেখানে একদিনে অতিরিক্ত পার্সেল আসছে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হলো!’’
আবাসন কর্তৃপক্ষের তরফ হতে জানানো হয় যে, ৭ বছর ধরে সেখানে মাত্র একজন নিরাপত্তারক্ষী দায়িত্ব পালন করেন। তার কাজকর্ম নিয়ে কোনও দিন কোনও সমস্যাও হয়নি। হাসিমুখেই সকলের সমস্ত কাজ করছেন তিনি। তবে এবার নিরুপায় হয়ে তিনি নালিশ জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে। নিরাপত্তারক্ষী জানান যে, আবাসনের এফ ব্লকের যে অবিবাহিতরা রয়েছেন, তারা সারা দিনরাত অনলাইনে অর্ডার করে যাচ্ছেন। দিনে অন্তত ১০ হতে ১৫টি ডেলিভারি আসছে ওই ব্লকটিতে। ওটিপি দেওয়া থেকে শুরু করে অর্ডার গ্রহণ করার সমস্ত কাজ করছেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। তবে নিজের কাজ করার কোনো সময়ই পাচ্ছেন না তিনি।
এদিকে আবাসনের কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ব্লকের অবিবাহিতদের বিশেষ নির্দেশ দিয়ে বলেছে যে, দিনে এক থেকে দু’টি পার্সেল যেনো তাদের নামে আসে। এর অন্যথা হলে যেনো পার্সেল সংক্রান্ত কাজকর্ম সারার জন্য অবিবাহিতরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিযুক্ত করেন। নয়াদিল্লির এই আবাসনের বিশেষ নির্দেশ দেখে এক নেটাগরিক বলেছেন, ‘‘একদম সঠিক সিদ্ধান্ত। নিরাপত্তারক্ষীদের উপর এতো চাপ দেওয়া কখনওই ঠিক না। ’’ তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org