দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময় সাদাকালো যুগে টিভি নাটকের প্রিয় মুখ ছিলেন অভিনেত্রী শিল্পী সরকার অপু । ‘এইসব দিনরাত্রি’ তে অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন।
বর্তমানেও সমানতালে অভিনয় করছেন এক সময়ের খ্যাতিমান এই অভিনেত্রী। স্বামী অভিনেতা, নির্মাতা নরেশ ভূঁইয়া এবং সন্তান ইয়াশ রোহানকে নিয়ে তার সুখের সংসার। ইতিমধ্যেই ইয়াশ রোহানও অভিনয় দিয়ে বর্তমান প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মা ও ছেলে। যেখানে ইয়াশের বিয়ে সম্পর্কে কথা বলেছেন তার মা শিল্পী সরকার অপু।
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এখন মানুষ বলে যে, ইয়াশের বিয়ে করা উচিত। তবে আমি মনে করি যে, তার যখন ইচ্ছে হবে তখনই সে বিয়ে করবে। ইচ্ছে না হলে বিয়ে করবে না। কারণ জীবনটা তার, এখানে আমি জোর করে কিছুই চাপিয়ে দিতে চাই না।’
এই সময় ছেলের প্রশংসা করে অপু বলেন, ‘সে একজন ভালো ছেলে। তবে সে একটু অগোছালো। সেজন্য মাঝেমধ্যে বকাঝকাও করি।’
তার পাশ থেকে ইয়াশ বলেন, ‘ধন্যবাদ ইশ্বরকে, আমার মা আমাকে এই স্বাধীনতাটা অন্তত দিয়েছেন। বিয়ের জন্য কোনো চাপ দিচ্ছেন না তিনি। আমি ওপরওয়ালার কাছেও সেজন্য কৃতজ্ঞ।’
এই অভিনেতা বলেন,‘আমার প্রথমে ইচ্ছেই ছিল না অভিনয় করার। শখের বসেই অভিনয়ে এসেছিলাম। কাজ করছি, ভালোও লাগছে। যতোদিন ভালো লাগবে, ততোদিন কাজ করে যাবো।’
উল্লেখ্য, শিল্পী সরকার অপু পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে। পড়াশোনার সময়ই তার বিয়ে হয় অভিনেতা, নির্মাতা এবং সাংবাদিক নরেশ ভূঁইয়ার সঙ্গে। স্বামীর হাত ধরেই অভিনয়ে আসা শিল্পীর। তিনি টিভি ছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on অক্টোবর ৩, ২০২৪ 3:04 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের দুই অভিনেত্রী কাজল-টুইঙ্কেলের ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’…