দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বনামধন্য ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্লোবাল ব্র্যান্ড এক্স (X) ডিএক্স গ্রুপকে দক্ষিণ এশিয়ার এক্সক্লুসিভ পরিবেশক হিসেবে নিয়োগ দিলো। এক্স ব্র্যান্ডের পণ্য সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে তৈরি করা হয়ে থাকে, সেইসঙ্গে থাকছে ফ্যাশনেবল ডিজাইন এবং ফিচার্স।
গ্লোবাল ব্র্যান্ড এক্স বিশ্বব্যাপী তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হয়ে উঠছে। এক্স স্মার্টওয়াচের ৩টি মডেল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। যারমধ্যে ২ হাজার ৯৯ টাকায় এক্স ওয়াচ এসই, ২ হাজার ৯৯৯ টাকায় এক্স ওয়াচ ওয়ান ও ৪ হাজার ৪৯৯ টাকায় এক্স ওয়াচ ওয়ান প্রো এখন পাওয়া যাচ্ছে।
‘থ্রিডি ইন্টারফেস’ ফিচার রয়েছে এক্স ওয়াচ ওয়ান প্রো স্মার্টওয়াচটিতে। যা গ্রাহকদের স্মার্টওয়াচ ব্যবহারে একটি অভিনব অভিজ্ঞতাও দেবে। এছাড়াও এমোলেড ডিসপ্লের এক্স ওয়াচ ওয়ান প্রো ও ব্লুটুথ কলিং সুবিধার এক্স ওয়াচ এসইতে সাশ্রয়ী মূল্যে আধুনিক সব ফিচার্সও থাকছে।
এই বিষয়ে ডিএক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী দেওয়ান কানন বলেছেন, তরুণরাই নতুনের নতুনত্ব ও ফ্যাশনের ধারক। তাই তরুণদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি তাদের সাধ্যের মধ্যে প্রযুক্তি এবং ফ্যাশনের এক অনন্য উপহার এক্স (X)। হংকং-এর ব্র্যান্ড এক্স বিশ্বব্যাপী দ্রুততম সময়ে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সম্প্রতি তাইওয়ানে এক্স পণ্য গ্রাহকদের কাছেও অসাধারণ অভিবাদন পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা “এক্স” ব্র্যান্ড এর নতুন ৩টি স্মার্টওয়াচ বাংলাদেশে নিয়ে এসেছি। আমরা বিশ্বাস করি যে, এক্স স্মার্টওয়াচগুলো বাংলাদেশের প্রযুক্তির বাজারে এক নতুন মাইলফলকও সৃষ্টি করবে।
দেশব্যাপী মোবাইল, একসেসরিজের দোকানসহ জনপ্রিয় সব ই-কমার্সে এক্স-এর পণ্য কিনতে পারবেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org