দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান স্টারটাইজ ৮ অক্টোবর তাদের টিম সদস্যদের সম্মাননা ও প্রশংসার উদ্দেশ্যে “রিওয়ার্ডস এন্ড এপ্রেসিয়েশন নাইট-২০২৪” নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল টিম সদস্যদের মাঝে প্রোফিট শেয়ার করা যা টিমকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করে। এবং স্টারটাইজ হলো বাংলাদেশের প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রথম কোম্পানি যেটা কিনা তার টিমসদস্যদের মধ্যে প্রোফিট শেয়ার করে।
১১০+ টিম সদস্যদের নিরলস পরিশ্রম এবং কোম্পানির বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকার মাধ্যমে ২০২৩ সালে কোম্পানিটি যে বিভিন্ন মাইলফলক অর্জন করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও স্বীকৃতি প্রদান এবং একটি বার্ষিক প্রোফিট শেয়ার সেলিব্রেশন এর উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।
মূলত টিম সদস্যদের কালচারাল রিক্রিয়েশনের জন্য অফিসের বাহিরে মিরপুরের একটি রেস্টুরেন্টে এই ইভেন্টটি আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবছর এরকম প্রোফিট শেয়ারের মাধ্যমে টিম এপ্রিসিয়েশন অনুষ্ঠান আয়োজন করা স্টারটাইজের একটি নিজস্ব কোম্পানি কালচার। এতে করে টিম সদস্যদের কাজ করার স্পৃহা আরো বেশি বৃদ্ধি পায় এবং মজবুত থাকে।
টিমসদস্যদের অনুপ্রেরণা দিতে এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখানোর অন্যতম সুন্দর অভিব্যাক্তি হচ্ছে প্রোফিট শেয়ার যা প্রতিবছরই স্টারটাইজ করে আসছে । এবং এর মাধ্যমে স্টারটাইজ বাংলাদেশের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি উদাহরণ হিসেবে কাজ করে যে কিভাবে টিমসদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করে তাদেরকে আর বেশি কাজ করার অনুপ্রেরণা তৈরি করা যায়।
প্রোফিট শেয়ার ছাড়াও, স্টার্টাইজ বিভিন্ন ধরণের অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরি যেমন আর্লি রাইজার, অফিস হিরো এবং মিস্টার/মিস কনসিসটেন্ট সহ বিভিন্ন ধরণের পুরুষ্কারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত সাফল্যকে সম্মানিত করেছে। এই অ্যাওয়ার্ডগুলো সময়ানুবর্তিতা থেকে শুরু করে, নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসা, নিষ্ঠার সাথে প্রতিদিন কাজ করে একেকটি প্রজেক্টের সাফল্য আনার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে টিম সদস্যদের এপ্রিসিয়েশন দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও বার্ষিক পুরস্কার এর পাশাপাশি, কোম্পানি কর্মীদের অসাধারণ পারফর্ম্যান্স এবং নিষ্ঠাকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং অনুপ্রাণিত করার জন্য মাসিক পুরস্কার প্রদান এর প্রতিশ্রুতি রাখে।
তাছাড়া, টিম ফটো সেশন সেগমেন্ট, লাইভ মিউজিক সেশন বিভাগ এবং কোম্পানিতে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ইভেন্ট যেমন বার্ষিক ক্রীড়া দিবস, পিঠা উৎসব, উইমেন্স ডে, মেহেদি ফেস্ট সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিশেষ স্বীকৃতিও দেয়া হয়েছে এই অনুষ্ঠানে
এই বছরের শুরুর দিকে, ফেব্রুয়ারিতে, স্টারটাইজ এইটি বড় গ্র্যান্ড ইভেন্টের আয়োজন করেছিলো যেখানে পুরো কোম্পানির রিব্র্যান্ডিং করা হয়েছিল। তখনই মূলত ডব্লিওপি ডেভেলপার তার অন্যতম মাইলফলক উদযাপনের জন্য স্টারটাইজ কোম্পানির উদ্বোধন হয়েছিলো। এই উদ্বোধন এর মাধ্যমে, স্টার্টাইজ পাঁচটি ব্র্যান্ডকে একত্রিত করেছে, যা বাংলাদেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম উদাহরণ হয়ে দাড়িয়েছে।
বর্তমানে, স্টারটাইজ বিশ্বব্যাপী ৬ মিলিয়নেরও বেশি কাস্টমারকে সেবা প্রদান করছে। ৩০টিরও বেশি ওয়ার্ডপ্রেস টুল, শপিফাই অ্যাপ, ওয়েব হোস্টিং পরিষেবা, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট টেমপ্লেট, রিমোট এমপ্লয়ী হায়ারিং টুল সহ এবং আরও অনেক কিছু কোম্পানিটি অফার করে।
অনুষ্ঠানের সময়, Startise-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান এম আসিফ রহমান কোম্পানির সাফল্য এবং টিমসদস্য কীভাবে প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছ তা নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “এই প্রফিট মূলত পুরো টিমেরই অর্জন। ২০২১ এ যখন আমরা প্রথম প্রফিট শেয়ার শুরু করি তখনের থেকে এখন আমাদের টিম মেম্বার দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। আমরা টিম হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছি তাই ২০২১ থেকেই আমরা প্রফিট শেয়ার করা শুরু করি। আশা করি আমরা আগামী বছরগুলোতেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারবো।”
কোম্পানিটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজমুল হাসান রূপক বলেন , “আমরা শুধুমাত্র স্যালারির ভিত্তিতে এই প্রফিট টিম সদস্যদের মধ্যে ভাগ করি না। আমরা এটিকে ৪টা ভাগে ভাগ করেছি। যেমন চাকরির সময়কাল, স্যালারি, পারফরমেন্স এবং গুরুত্ব। এগুলোর একটি পারসেন্টেজ হিসাব করে সবার মধ্যে ভাগ করেছি যাতে সবাই নিরপেক্ষ প্রফিট পেতে পারি”
এছাড়াও, কোম্পানির চিফ মার্কেটিং অফিসার আফসানা রহমানও বলেছেন , “আমাদের কোম্পানি শুরু করার পর থেকে আমরা অনেক ভালো করে আসছি । টিম হিসেবেও আমরা অনেক বড় হয়েছি। আশা করি এই বছরও আমরা অনেক ভালো পারফর্ম করবো যাতে পরের বছর আরও ভাল পরিমাণ প্রফিট আমরা শেয়ার করে নিতে পারি।”
স্টার্টাইজ হল বাংলাদেশের আইটি ক্ষেত্রের একটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির মধ্যে অন্যতম। এর ক্রমাগত উদ্ভাবন এবং সমৃদ্ধি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত।
স্টারটাইজ তার টিম সদস্যের প্রতি দৃঢ়ভাবে নিবেদিত। স্টার্টাইজ বিশ্বাস করে যে স্বীকৃতি এবং পুরষ্কারের মাধ্যমে টিম সদস্যেরদের ক্ষমতায়ন এবং অনুপ্রেরণা একটি ইতিবাচক কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলে। তাছাড়া এটি পজিটিভ কোম্পানি কালচার তৈরির জন্য অপরিহার্য। অবদানের উপর ভিত্তি করে মাসিক পুরষ্কার, বার্ষিক পুরষ্কার, প্রোফিট শেয়ার, রিক্রিয়েশন এবং কালচারাল নাইটের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে, কোম্পানিটি তার টিম সদস্যদের জন্যও বিভিন্ন ধরণের সারপ্রাইজ দিয়ে চলছে যা এমপ্লোয়ি বেনেফিটকে আরও মজবুত করে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org