যুদ্ধ করতে চাইছে না অনেক ইসরাইলি সেনারা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরাইলি প্রায় ১৩০ জন সৈন্য একটি শর্ত দিয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

যুদ্ধ করতে চাইছে না অনেক ইসরাইলি সেনারা! 1যুদ্ধ করতে চাইছে না অনেক ইসরাইলি সেনারা! 1

ওই চিঠিতে তারা সতর্ক করে বলেছেন যে, ইসরাইলি সরকার যদি গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে ব্যর্থ হয় ও বন্দি বিনিময়ের ব্যবস্থা না করে, তাহলে তারা আর সেনাবাহিনীতে তাদের এই দায়িত্ব পালন করবেন না। বুধবার এই চিঠি ইসরাইলের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

ওই চিঠির বরাত দিয়ে হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানানো এই সৈন্যরা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ হতে আসা। যেমন- বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, সাঁজোয়া বাহিনী ও আর্টিলারি বাহিনী। তারা তাদের চিঠিতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের ও সেনাবাহিনী প্রধানের প্রতি এই বার্তা দিয়েছেন।

Related Post

চিঠিতে তারা উল্লেখ করেছেন যে, গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্দিদের জীবনকে আরও যেনো বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। যাদের অনেকেই ইতিমধ্যেই ইসরাইলি বিমান হামলায় কিংবা উদ্ধার অভিযানের সময় নিহত হন। চিঠিতে তারা লিখেছেন যে, ‘আমরা যারা আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছি কিংবা করেছি, তারা ঘোষণা করছি যে, যদি সরকার বন্দিদের বাড়ি ফেরানোর জন্য চুক্তির পথে না হাঁটে, তবে আমরা আর আমাদের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে পারবো না’।

তারা আরও উল্লেখ করেছেন যে, ’আমাদের অনেকের জন্য ইতিমধ্যেই সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে; অন্যদের জন্যও ওই দিনটি আসছে, যখন আমরা হৃদয়ভাঙা হয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবো না’। ইতিপূর্বে ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলো যে, ৩০ সেনা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে এই সেনাদের যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি করার মাধ্যমে প্রকাশ পায় দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ করার কারণে তারা কতোটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।

ইতিপূর্বে গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সেনাদের অভিভাবকরাও ইসরায়েলের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। তারা বলেছেন, এই অর্থহীন যুদ্ধে সন্তানদের পাঠিয়ে তাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। গাজায় থাকা তাদের সেনা সন্তানদের ফেরত আনার দাবিও করছেন তারা।

অপরদিকে, এতোকিছুর পরও গাজা ও লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়িলের বিমান বাহিনী হিজবুল্লার প্রায় ১৮৫টি ও হামাসের ৪৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। বিভিন্ন স্থানে ভবন, রকেট লঞ্চার ও হামাস এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on অক্টোবর ১০, ২০২৪ 12:12 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

দীঘির সঙ্গে অভিনয় করছেন ইমন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই প্রথমবারের মতো সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে চলেছেন মামনুন ইমন…

% দিন আগে

অফিসে জুতো পরা বারণ: যততত্র ছড়িয়ে রয়েছে পোষ্যের মল-মূত্র!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি সংস্থায় কাজ করতে হলে কর্মীদের মেনে চলতে হয় বিদ্‌ঘুটে…

% দিন আগে

অসম্ভব সুন্দর এক প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২…

% দিন আগে

খালি পেটে ব্যায়াম করলে কী ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে পারেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি শরীরচর্চা করলে শরীর ফিট থাকে। ওজনও তখন…

% দিন আগে

চার ব্র্যান্ডের এআইওটি প্রযুক্তিপণ্য বাংলাদেশের বাজারে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বাজারে ফিলিপস, ট্রান্সফরমার, মনস্টার এবং এয়ারমার্স ব্র্যান্ডের এআইওটি (আর্টিফিশিয়াল…

% দিন আগে

বক্স অফিসে বাজিমাত করা ‘জাত’ এর সিকুয়েল আসছে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৩ সালে ‘গদর’-এর সিক্যুয়েল দিয়ে বক্স অফিসে ঝড়ো ইনিংস শুরু…

% দিন আগে