দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রস্তাবিত ‘থ্রি জিরোস’ লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জমা হিসাব এবং ঋণ প্যাকেজসহ নতুন বিভিন্ন পণ্য চালু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংক– ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)।
ড. ইউনূস তার ‘এ ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস’ গ্রন্থে-এ শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য কার্বন নিঃসরণ ও শূন্য বেকারত্বের (থ্রি জিরোস) এক বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছেন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং তরুণ প্রজন্মকে সক্ষম করে তুলতে পারে এমন সব পণ্য চালু করতে ব্যাংকিং খাত এবং আর্থিক ইকোসিস্টেমের অংশীদারদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এই লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইউসিবি ১৫ অক্টোবর রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন পণ্যসমূহ উদ্বোধন করেছে। এই সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি’র চেয়ারম্যান শরীফ জহির। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন গ্রামীণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হাই খান। অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ ও ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন।
ইউসিবি’র নতুন চালু হওয়া পণ্যসমূহের মধ্যে রয়েছে ‘স্বাধীন’ (শূন্য বেকারত্ব), ‘সমতা’ (শূন্য দারিদ্র্য) এবং ‘সবুজ সঞ্চয়’ (শূন্য কার্বন)। তাছাড়াও, ৩টি নতুন ঋণ প্যাকেজও চালু করা হয়েছে; যথা: – ইউসিবি ‘প্রগতি’ (শূন্য দারিদ্র্য), ইউসিবি ‘সবুজ সমৃদ্ধি’ (শূন্য কার্বন) ও ইউসিবি ‘সূচনা’ (শূন্য বেকারত্ব)।
অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র চেয়ারম্যান শরীফ জহির বলেন, “দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে, ইউসিবি টেকসই ব্যাংকিং সল্যুশন ও প্রাসঙ্গিক পণ্য চালু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেন আমরা আমাদের সবার জন্য পৃথিবীকে আরও কিছুটা বাসযোগ্য করে তুলতে পারি। ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরোস’ লক্ষ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, আমরা নতুন সব পণ্য নিয়ে এসেছি, যার মাধ্যমে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক এবং সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করবেন। আমাদের নতুন পণ্যগুলো শুধুমাত্র গ্রাহকদের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রাই যুক্ত করবে না পাশাপাশি, ‘থ্রি জিরোস’ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”
ব্যাংকের নতুন প্রোডাক্ট লাইন-আপে (সঞ্চয়ী হিসাব) গ্রাহকদের জন্য রয়েছে বিস্তৃত পরিসরের সুবিধা। যার মধ্যে রয়েছে: ব্যালান্সের ওপর আকর্ষণীয় সুদের হার, ডুয়াল কারেন্সি ডেবিট কার্ড ও নেই কোন মেইনটেনেন্স খরচ। অপরদিকে, নতুন ঋণ প্যাকেজসমূহ দারিদ্র্য, কার্বন নিঃসরণ এবং বেকারত্বকে শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে চালু করা হয়েছে। ইউসিবি ‘প্রগতি’র আওতায়, গ্রাহকরা জামানতবিহীন ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন, যা নিম্ন আয়ের ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষকে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনে এবং দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। অন্যদিকে, ইউসিবি ‘সূচনা’র মাধ্যমে গ্রাহকরা নতুন ব্যবসা শুরুসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থায়ন সুবিধা পাবেন। ইউসিবি’র এই উদ্যোগ নানা সম্ভাবনা তৈরি করবে পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি করবে। ইউসিবি ‘সবুজ সমৃদ্ধি’ পরিবেশবান্ধব ব্যবসা উদ্যোগগুলোতে অর্থায়ন করবে, যার মধ্যে রয়েছে নবায়নযোগ্য শক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং রিসাইক্লিং প্রকল্প, যা কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on অক্টোবর ১৫, ২০২৪ 4:13 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…