ঈশ্বরদী প্রতিনিধি ॥ ‘বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশে লুটতরাজ হয়। খালেদা জিয়ার ছেলেরা দেশের শত শত কোটি টাকা বিদেশে নিয়ে যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে উন্নয়ন করে। আমরা আবার ক্ষমতায় এলে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ ও স্কুল সরকারিকরণ করব। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিকেলে পাকশীতে রূপপুর পরমাণু প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এসে আওয়ামীলীগের এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতা করছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের আরও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের শিক্ষা, খাদ্য, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও বিদ্যুৎসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। দেশে কোনো মানুষ এখন না খেয়ে মরে না। সবাই শান্তিতে বসবাস করে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া একজন খুনি ও মিথ্যাবাদী। তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আমাদের বহু নেতা-কর্মীকে খুন করেছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই হামলায় তিনি আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী আইভি রহমানকে খুন করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মসজিদে মসজিদে আজানের পরিবর্তে উলুধ্বনি শোনা যাবে। কিন্তু তা হয়নি। তিনি মিথ্যাবাদী, তা প্রমাণ হয়েছে।’
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামসুর রাহমান শরীফ ডিলুর সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুসহ পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোর ও সিরাজগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতারাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্রায় ৩০ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতা এবং বিএনপি ও জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করেন। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে বলেন, ‘উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। আমরা আবার ক্ষমতায় এলে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি কলেজ ও একটি স্কুল সরকারীকরণ করব। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সুখী ও সমৃৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’
প্রধানমন্ত্রী গতকাল পাকশীতে দেশের প্রথম এবং একমাত্র রূপপুর পরমাণু প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকাল ১১টা ২১ মিনিটে অত্র উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকার আরও ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তান সরকার দেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৮ সালে পাকশী ইউনিয়নের পদ্মার তীরবর্তী রূপপুর গ্রামকে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এ সময় প্রকল্পর জন্য ২৬০ একর ও আবাসিক এলাকার জন্য ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এরপর আবাসিক এলাকায় স্থাপনাও তৈরি করা হয়। কিন্তু স্থাপনা তৈরির পর থেমে যায় সব। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আবার এ প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত একনেক থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সব সরকারের আমলেই এই বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বললেও কোন সরকারই তা বাস্তবায়ন করেনি। ১৯৯৬ সালে জাতীয় জ্বালানি নীতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়। ২০০৮ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। আজকে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথে যাত্রা শুরু করলো।
This post was last modified on অক্টোবর ৩, ২০১৩ 10:41 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…