দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা হতে শুরু ভোটগ্রহণ। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে সময়ের ব্যবধান থাকায় সময়কে সমন্বয় করে ভোট শুরু এবং শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত ভোটের দিনের আগে প্রায় ৮ কোটি মার্কিনি নির্বাচনে আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন।
এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এবারের নির্বাচনে প্রাধান্য পাচ্ছে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, গর্ভপাত, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও অভিবাসন এবং বৈশ্বিক ইস্যুতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশেষ করে ফিলিস্তিনে ইসরাইল বাহিনীর আগ্রাসন বিষয়ও এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে
অনেকের কাছেই ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচন’ হিসেবে পরিচিত হলেও এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি আইনসভার সদস্যদেরও বেছে নেন মার্কিন নাগরিকরা। স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন নাগরিকদের বাইরেও সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ নজর রাখছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী নির্বাচনের দিকে। কারণ হলো বিশ্বের রাজনীতিতেও মার্কিন নির্বাচন একটা ফ্যাক্টর হিসেবে দেখা হয়। যে কারণে এই নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের বহু দেশের আগ্রহ বিদ্যমান। এই নির্বাচনের ফলাফলের উপর বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই নির্ভর করছে- সেটি বলাই যায়। এখন দেখার বিষয় কে জয়লাভ করে সেটি।
বিশেষ করে বাংলাদেশের বর্তমান সময়েও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়েও প্রভাব পড়তে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতলে হয়তো আওয়ামীলীগের জন্য সুবিধা হবে। কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে ভারতীয় প্রভাবকে। কারণ কমালা হ্যারিস ভারতীয় বংশদ্ভুত হলেও ট্রাম্পের সঙ্গেই মোদির ভালো সম্পর্ক। আর সেটিই প্লাস পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন অনেকেই। এর কারণ হিসেবে নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে দেওয়া বাংলাদেশ সম্পর্কে ট্রাম্পের বক্তব্য। তবে যে বক্তব্যই দেওয়া হোক না কেনো সেটি তার নির্বাচনী প্রপাগাণ্ডা হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাই এই বিষয়ে অনেকেই মনে করছেন মার্কিন নির্বাচনের সঙ্গে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ের কোনো সম্পর্কই নেই। কারণ ক্ষমতায় যে দলই থাকনা কেনো দেশটির রাষ্ট্রীয় নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না। তবে সময়ই সব কিছু খোলাশা করবে। আর সেজন্য আমাদের অল্প সময় অপেক্ষা করতে হবে।
তবে আন্তর্জাতিক অন্যান্য নীতির মধ্যে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে বিশ্ববাসী বেশি তাকিয়ে আছে মার্কিন নির্বাচনের দিকে। ইসরাইলের বর্বর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হবে সেই প্রত্যাশা করছে পুরো বিশ্ববাসী।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org