ঢাকা টাইমস্ রিপোর্ট ॥ সরকার এবং বিরোধী দল উভয়ই এক রোখা মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। মাঝখানে নিষ্পেষিত হচ্ছে সাধারণ জনগণ। বিএনপি তাদের নেতা ইলিয়াস আলীকে সরকার গুম করেছে বলে গো ধরেছে, আর সরকার বলছে, আমাদের সহযোগিতা করলে উদ্ধার করতে পারতাম। অবশ্য কি ধরনের সহযোগিতা সরকার চেয়েছে তা পরিষ্কার নয়।
সরকার বার বার বলছে, বিরোধী দল জ্বালাও পোড়াও নীতি পরিত্যাগ করুক। অপরদিকে বিরোধী দল বলছে, ইলিয়াস আলীকে সরকারই গুম করেছে, তাকে ছেড়ে দিলেই আন্দোলন বন্ধ হবে- তার আগে নয়। কিন্তু সরকার কি সত্যিই ইলিয়াসের ব্যাপারে কিছু জানে। যদি জানবে তাহলে খোঁজ দিচ্ছে না কেনো? নাকি সরকার চাচ্ছে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হোক। বিরোধী দল চাচ্ছে তাদের নেতাকে? নাকি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য স্বচ্ছ পানিকে ঘোলা বানানো হচ্ছে। যেহেতু বিরোধী দলের কাছে আন্দোলনের কোনো ইস্যু নেই। সেহেতু তারা কি এই সুযোগ নিয়ে আন্দোলন করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাই?
সরকার এবং বিরোধী দল যে দলের যে উদ্দেশ্য থাক না কেনো জনগণ কোন হরতাল-ধর্মঘট চাই না। জনগণ শান্তিতে বসবাস করতে চাই। কারণ হরতাল-ধর্মঘটে জনগণের ক্ষতি, দেশের ক্ষতি। সে কথাটি সরকার এবং বিরোধী দল ভাবেন?
ইলিয়াস আলী উদ্ধারে গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী অপহরণ রহস্যের জট এখনও খোলেনি। পত্রিকা সূত্র বলেছে, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী নিখোঁজের রহস্য উদঘাটনে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সিলেট জেলায় সম্প্রতি নিখোঁজ ও খুনের সঙ্গে যোগসূত্র মেলানোর চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এ বিষয়ে র্যাবের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি দৈনিককে বলেছেন, ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পেছনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সিলেটের সাম্প্রতিক আলোচিত কয়েকটি খুনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এই সূত্র ধরে ইতিমধ্যে বিএনপি ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন ও সিলেট জেলা কমিটির কয়েকজনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন র্যাবের কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে সিলেটের আলোচিত চার ব্যক্তি নিখোঁজ হন। তাদের কেউ অপরাধী কিংবা মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত নন। নিখোঁজ চারজনের মধ্যে তিনজনই ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন। ৩ এপ্রিল রাতে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন সিলেট জেলা ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার ও জুনায়েদ আহমদ। সিলেটের ছাত্রদল নেতা দিনার নিখোঁজের আগে ২২ মার্চ সিলেট নগরীর উপশহরে খুন হন ছাত্রদল কর্মী শওকত। শওকতের পরিবার দিনারকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করে। এরপর থেকে দিনার ঢাকায় পালিয়ে ছিল। মাঝেমধ্যে ইলিয়াস আলীর সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে দেখা করতেন। এসব ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ইলিয়াস আলীর প্রতিপক্ষরা তাকে তুলে নিয়ে গেল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া দলীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে তার কোন শত্রু ছিল কিনা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাও খতিয়ে দেখছেন। ইলিয়াস আলী যে রাতে নিখোঁজ হন সে রাতে যুবদলের কেন্দগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। ঘটনার পর ইলিয়াসের মোবাইল ফোনের কললিস্ট সূত্র ধরে বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকে জিজ্ঞসাবাদ করা হয়। এরপর থেকে র্যাব যুবদলের সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী একজনের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেন। তার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অনেকদূর এগিয়েছেন বলে দাবি করে র্যাবের ওই সূত্রটি। সূত্রটি বলেছে, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী অপহরণের সময় আশপাশে ছিলেন এমন দু’জনের সঙ্গে কথা বলেছে র্যাবের তদন্ত দল। তাদের কাছ থেকে অপহরণকারীদের পোশাক এবং গাড়ির বিবরণ নেয়া হয়েছে।
র্যাবের তদন্ত সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা বলেছেন, কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয় বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী এবং তার গাড়িচালক আনসারকে। এর আগে ইলিয়াস আলীর গাড়িতে পেছন থেকে মাইক্রোবাসটি ধাক্কা দেয়। এ সময় চালক আনসার আলী গাড়ি থেকে নেমে মাইক্রোবাসের দিকে তেড়ে যান। এক পর্যায়ে মাইক্রো চালকের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় মাইক্রো থেকে ৪-৫ জন নেমে গিয়ে ইলিয়াস আলীর গাড়ির চালককে জোর করে মাইক্রোতে তুলে নেয়। পরক্ষণেই তারা প্রাইভেট কারে বসে থাকা ইলিয়াস আলীকেও অস্ত্রের মুখে জোর করে গাড়িত তুলে নেয়। পরে মাইক্রোবাসটি বিমানবন্দর সড়ক ধরে দ্রুত চলে যায়। গোয়েন্দাদের দাবি পূর্বশত্রুতার জের ধরেই পরিকল্পিতভাবেই এ অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
ওই সূত্র আরও বলেছে, ইলিয়াস আলীর সন্ধান জানতে ইতিমধ্যেই প্রায় অর্ধশত সন্দেহভাজন ব্যক্তির মোবাইল এবং ল্যান্ডফোনে আড়ি পেতেছেন গোয়েন্দারা। তাদের গতিবিধিও মনিটরিং করা হচ্ছে। সূত্র বলেছে, সন্দেহভাজনদের মধ্যে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য এবং কয়েকজন প্রথম সারির নেতাও রয়েছেন। র্যাবের দাবি, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিএনপি নেতাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
তবে গোয়েন্দাদের এসব দাবি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিএনপির শীর্ষনেতারা। তাদের ভাষ্য, ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ঘটনায় সারাদেশে বিএনপির তীব্র আন্দোলনে বিব্রত সরকার এখন উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দাদের দিয়ে সাজানো নাটক মঞ্চায়নের চেষ্টা চলছে।
সত্য-মিথ্যা বা কে অপহরণ করেছে তা যাই হোক না কেনো, এখন শুধু প্রধান কাজ হওয়া উচিত বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও তার ড্রাইভারকে উদ্ধার করা। কারণ তাদের নিখোঁজের সঙ্গে সমগ্র দেশবাসী আজ জড়িয়ে পড়েছেন। এভাবে হরতাল-ধর্মঘট চলতে থাকলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কি দাঁড়াবে তা সকলকেই ভাবতে হবে। কারণ সরকারি দল এবং বিরোধী দল উভয়ই দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত!
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের দুই অভিনেত্রী কাজল-টুইঙ্কেলের ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত কয়েক দিন ধরে, নিউ সাউথ ওয়েলস (অস্ট্রেলিয়া) এবং দ্বীপ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনা বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা এমন একটি কৃত্রিম চিপ উদ্ভাবন…
View Comments
I want to point out my admiration for your generosity giving support to women who have the need for guidance on this matter. Your special dedication to passing the message all-around had become exceptionally insightful and have really helped women like me to attain their endeavors. This insightful guide implies a whole lot to me and somewhat more to my fellow workers. Regards; from everyone of us.
You really make it appear so easy with your presentation however I find this topic to be really something which I feel I might never understand. It kind of feels too complicated and extremely extensive for me. I'm taking a look forward on your next put up, I will try to get the hang of it!
I've said that least 4900110 times. SCK was here
I've said that least 4246338 times. SCK was here
Your article perfectly shows what I needed to know, tahkns!