দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আজ (শনিবার) নতুন সদস্যদের জন্য পরিচিতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, যেখানে গত দুই মাসে বেসিস-এ সদস্যপদ পাওয়া প্রায় ৭০ নতুন সদস্য কোম্পানীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল নতুন সদস্যদের বেসিস-এর সেবা, সুযোগ-সুবিধা এবং আইটি খাতে তাদের ব্যবসার অগ্রগতির জন্য বেসিস কীভাবে সহায়তা করতে পারে তা জানানো।
অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) সৈয়দ মোহাম্মাদ কামাল, বেসিসের পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম, বিপ্লব ঘোষ রাহুল এবং সৈয়দ আব্দুল্লাহ জায়েদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে যৌথভাবে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসিসের সহ-সভাপতি (অর্থ) এম আসিফ রহমান এবং বেসিসের পরিচালক বিপ্লব ঘোষ রাহুল ।
অনুষ্ঠানে বেসিস কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা বেসিস-এর লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বেসিস-এর ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। নতুন সদস্যদের বেসিস-এর বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে ব্যবসা উন্নয়ন সহায়তা, নীতি সহায়ক কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ও বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশাধিকারের সুযোগ। বেসিস-এর এসব সেবা সদস্যদের ব্যবসার কার্যকারিতা বাড়াতে এবং প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও, নতুন সদস্যদের বেসিস-এর বিশেষ সুবিধাগুলি সম্পর্কে জানানো হয়, যেমন- এক্সক্লুসিভ ইন্ডাস্ট্রি ইভেন্টে অংশগ্রহণ, স্ট্যান্ডিং কমিটি, নেটওয়ার্কিং সুবিধা এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদলে অংশগ্রহণের সুযোগ। বেসিস সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সদস্যদের আরও এগিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা তাদের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আরও শক্তিশালী অবস্থান দিতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে বেসিস-এর সভাপতি এম রাশিদুল হাসান বলেন, “বেসিস পরিবারের নতুন সদস্যদের স্বাগত জানাতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, সদস্যদের জন্য একটি শক্তিশালী সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা, যাতে তারা তাদের ব্যবসার উন্নতি করতে পারে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলকভাবে এগিয়ে যেতে পারে। আমরা আশাবাদী যে, বেসিস তাদের জন্য সব ধরনের সেবা ও সহযোগিতা প্রদান করে তাদের সাফল্যের পথে সহায়ক হবে।”
উল্লেখ্য, বেসিস বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে একটি উদ্ভাবনী এবং গতিশীল পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা এবং নীতিগত সহায়তা প্রদান করে তাদের উদ্ভাবন, প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on নভেম্বর ৯, ২০২৪ 10:04 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একদিনে কিন্তু ওজন কমানো সম্ভব নয়। দিনের পর দিন জিমে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গোল্ড সঞ্চয়কে সবার জন্য আরও সহজ, স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং ঝামেলাহীন করতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের প্রথম সিডিএমএ প্রযুক্তি ব্যবহারকারী মোবাইলফোন অপারেটর সিটিসেল আবারও সাশ্রয়ী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই প্রথমবারের মতো জুটি হয়ে পর্দায় আসতে যাচ্ছেন বলিউডের দুই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা এবং লেবাননে গণহত্যা চালানোর ঘটনায় বর্বর ইসরায়েলের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি রাস্তার ধারে ভারতীয়…