দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের সম্মানিত গ্রাহক ও অংশীদারদের সম্মানে ৭ নভেম্বর বিকেলে রাজধানী ঢাকায় বাৎসরিক ‘ভিসা লিডারশিপ কনক্লেভ বাংলাদেশ ২০২৪’-এর আয়োজন করে ভিসা।
আয়োজনের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এবং ভিসা ইন্ডিয়া অ্যান্ড সাউথ এশিয়ার গ্রুপ কান্ট্রি ম্যানেজার সন্দ্বীপ ঘোষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এমন বিভিন্ন ব্যাংক, এমএফএস (মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস) প্রদানকারী এবং মার্চেন্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এই বিষয়ে ভিসা ইন্ডিয়া অ্যান্ড সাউথ এশিয়ার গ্রুপ কান্ট্রি ম্যানেজার সন্দ্বীপ ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশে আসতে পেরে ও আমাদের সম্মানিত গ্রাহক এবং অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলাদেশের সম্ভাবনা এবং সক্ষমতা নিয়ে আমরা সত্যিই আশাবাদী; আমাদের বিশ্বাস, ডিজিটাল হয়ে ওঠার দিকে দেশ অব্যাহতভাবে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশে ক্যাশলেস সোসাইটি এবং ডিজিটালভাবে সক্ষম অর্থনীতি খুব দ্রুত বিকশিত হবে বলেও দৃঢ়ভাবে আশাবাদী আমরা। এইক্ষেত্রে, বাণিজ্যের নানা খাতে সরকার এবং অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।”
এই বিষয়ে ভিসা বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাব্বির আহমেদ বলেন, “আজ আমরা পেমেন্ট ইকোসিস্টেমের অংশীদারদের সাথে উদযাপনে শামিল হতে পেরে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক দেশের ডিজিটাল হয়ে ওঠাকে আরও গতিশীল করতে ভূমিকা রাখছে। উদ্ভাবন এবং অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ক্যাশলেস সোসাইটির লক্ষ্যপূরণ ও বাংলাদেশকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
অনুষ্ঠানে ব্যাংক এবং পেমেন্ট ইকোসিস্টেমের সম্মানিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের পরিচালক রাফেজা আখতার কান্তা ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ফরেন সার্ভিস অফিসার জেমস গার্ডিনার।
বাংলাদেশের অর্থনীতির ডিজিটালকরণ ত্বরান্বিত করতে ভিসা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যে কারণে, ভিসা লিডারশিপ কনক্লেভ বাংলাদেশ ২০২৪-এ বাংলাদেশ বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। ভিসা বেশ কিছু ক্রেডেনশিয়াল-ভিত্তিক পেমেন্ট সমাধান নিয়ে এসেছে। এই আয়োজনে এইসব উদ্ভাবনগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
দেশে উদ্ভাবন এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট ল্যান্ডস্কেপে অবদান রাখতে নীতি নির্ধারক, সরকারি অংশীদার এবং মূল সহযোগীদের সঙ্গে ধারাবাহিক এবং নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে ভিসা।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org