দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কেবলমাত্র ভাসমান ধূলিকণা (পিএম১০) এবং অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম ২.৫) নয়, যানবাহনের সংখ্যা বাড়ায় বাতাসে নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা যেনো বিপজ্জনক হারে বাড়ছে।
তাপমাত্রার সঙ্গে বায়ুদূষণের সরাসরিই যোগসূত্র রয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইন পত্রিকাকে এমনটিই বললেন, ‘সাউথ এশিয়ান ফোরাম অফ এনভায়রনমেন্ট’-এর চেয়ারম্যান দীপায়ন দে। তার ভাষায়, “গরমের সময় বাতাস হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়, ওই সময় দূষণের প্রকোপ কিছুটা হলেও কম থাকে। আবার শীতের সময় দেখা যায়, দূষিত কণার পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। যদি তাপমাত্রা কমের দিকে থাকে, তাহলে দূষণের মাত্রাও বাড়বে। তবে যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে বাতাসে দূষিত কণার মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে।”
যানবাহন অর্থাৎ পরিবহনের ধোঁয়া, বহু মানুষের ভিড়ে বাতাসে ‘সাসপেন্ডেড পার্টিকুলেট ম্যাটার’ কিংবা ‘এসপিএম’ বেড়ে যেতেই পারে। এগুলো হলো সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম দূষিত কণা, যা ধুলো-ধোঁয়া, দূষিত গ্যাসের সংমিশ্রণেই তৈরি। বাতাসে মিশে এগুলো বিষবাষ্পও তৈরি করে। পরিবেশবিদের ভাষায়, রাতের দিকে বাতাসে এইসব দূষিত কণার মাত্রা আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে, ভোরের দিকে ৩ টা থেকে সাড়ে ৩ টা নাগাদ দূষণের মাত্রা সর্বাধিকও থাকতে পারে। যে কারণে যাদের ধুলো-ধোঁয়াতে অ্যালার্জি রয়েছে, শ্বাসের সমস্যা, ফুসফুসের রোগ কিংবা সিওপিডি রয়েছে, তারা বেশিক্ষণ বাইরে থাকলে অবস্থা খারাপ হতে পারে। হাঁপানি রোগীদেরও কষ্ট বাড়তে পারে।
পরিবেশবিদ দীপায়নবাবুর পরামর্শ, “মহিলারা সুতির কাপড় দিয়ে শিশুদের নাক-মুখ জড়িয়ে রাখতে পারেন। যেখানে বেশি ধুলো-ধোঁয়া রয়েছে বা প্রচুর জনসমাগম, সেই স্থানগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।” এই সময় ইনহেলার সঙ্গে রাখাই ভালো। বিশেষ করে সিওপিডি কিংবা হাঁপানির রোগীরা ইনহেলার ছাড়া বাইরে বের হবেন না।
দূষণ থেকে বাঁচার অন্য উপায়ও বলেছেন পরিবেশ-প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ। তার পরামর্শ হলো, শ্বাসের সমস্যা থাকলে কিংবা অ্যালার্জিক রাইনিটিস থাকলে, মাস্ক পরতে হবে। এছাড়াও খাওয়া-দাওয়ায় নজর দেওয়াটা জরুরি। এমন সব খাবার খেতে হবে, যা শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে। এই সময় ফাইবারে সমৃদ্ধ ফলমূল একটু বেশি খেতে হবে।
বাইরের পরিবেশের দূষণ নিয়ে শুধু ভাবলেই চলবে না। ঘরের ভিতরের বাতাসও অবশ্যই বিশুদ্ধ রাখতে হবে। ধূপ-ধুনোর ধোঁয়ায় রাশ টানতে হবে। কখনওই তা যেনো মাত্রাতিরিক্ত না হয়। সুগন্ধি রুম ফ্রেশনারের পরিবর্তে টাটকা ফুল ব্যবহার করা যেতেই পারে। প্রত্যেকেই বাড়িতে যদি কিছু গাছ লাগাতে পারেন, তাতে কিছুটা বিশুদ্ধ অক্সিজেনের জোগান বাড়বে বইকি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on নভেম্বর ১৭, ২০২৪ 4:49 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম ওটিটি প্লাটফর্ম আইস্ক্রিনে স্ট্রিমিং হতে চলেছে সুপারস্টার শাকিব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নেওয়া, সাংবাদিককে হুমকি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাতিশালের মধ্যে ঘুমোচ্ছে পুচকে একটি বাচ্চা হাতি। শাবকের ঘুম ভাঙাতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১ মাঘ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব স্বাভাবিকভাবেই খুশকি হলে অনেকেই অ্যান্টি-ডানড্রফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে থাকা একাধিক নিরাপত্তা ত্রুটির বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক…