দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২২ সালে নির্মিত হয় চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘পেট কাটা ষ’। প্রচলিত কিছু ভৌতিক গল্প হওয়ায় দারুণ প্রশংসা পান নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন।
দর্শক চাহিদার কারণে ‘পেট কাটা ষ’ এর দ্বিতীয় সিজন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী ২০২৪ এর এপ্রিলে দেওয়া হয় দ্বিতীয় সিজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও। অপেক্ষার পালা শেষ করে এবার প্রকাশ পেলো দ্বিতীয় সিজনের টিজার।
গত ১৯ নভেম্বর রাত ৮টায় টিজারটি আসে প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে। শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে এটি মুক্তির তারিখ। দ্বিতীয় সিজনের নামকরণ করা হয়েছে ‘২ষ’। প্রথমটির মতো দ্বিতীয় সিজনেও থাকছে ৪টি গল্প। সেগুলোর নাম ও অভিনয়শিল্পীদের পরিচয় শীঘ্রই জানানো হবে বলে জানা যায়।
ফ্যান্টাসি, হরর, মিস্ট্রি ঘরানার ‘২ষ’ এর গল্পগুলো লিখেছেন নুহাশ হুমায়ূন এবং তার মা গুলতেকিন খান। ‘২ষ’ এই প্রথমবারের মতো কোনো সিরিজের জন্য গল্প লিখলেন গুলতেকিন।
একটি সংবাদ মাধ্যমকে নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন জানিয়েছেন, দ্বিতীয় সিজনেও তিনি কিছু প্রচলিত বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। গল্পগুলোতে অতিপ্রাকৃত ও মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ও রয়েছে। তবে এইসবের সঙ্গে এবার তিনি জুড়ে দিয়েছেন কিছু প্রশ্নও।
নুহাশ আরও বলেছেন, ‘লোককাহিনী এবং কুসংস্কারের বাইরে গিয়ে ‘২ষ’ বাংলাদেশ এবং আধুনিক সময়ের ভয়াবহতা নিয়ে কিছু প্রশ্নও রেখেছে।’
নির্মাতা আরও জানিয়েছেন, ‘দেশে বা বিদেশে ভূতের ভয়ের চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে সামাজিক ভয়।’ এই ভয়গুলোই মানুষকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে বহু বছর ধরে। ‘২ষ’ এর প্রতিটি পর্বে মানসিকতার সেই অন্ধকার দিক খোঁজার চেষ্টায় করেছি।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org