দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হুনানের পিংজিয়াং জেলার ওয়াঙ্গু গ্রামে সন্ধান পাওয়া গেলো বিশাল এক স্বর্ণখনির। নতুন এই স্বর্ণখনির দুই হাজার মিটার গভীরতার মধ্যে ৪০টিরও বেশি গোল্ড ওর ভেইনস কিংবা স্বর্ণের আকরিক ধমনী সন্ধান পাওয়া গেছে।
চীনের ভূতত্ত্ববিদ ও খনি বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, নতুন এই খনিটির ৩ হাজার মিটার গভীরতার মধ্যে মজুত রয়েছে উচ্চ মানের ১ হাজার টনেরও বেশি স্বর্ণ, এর বর্তমান বাজারমূল্য কমপক্ষে ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
স্বর্ণের খনিতে অনেক সময় পাথরের গা চিরে জমাট স্বর্ণের ধারাও পরিলক্ষিত হয়ে থাকে, যা অনেকটা ধমনীর মতোই। স্বর্ণের আকরিকসমৃদ্ধ গরম তরল কিংবা মূলত লাভা পৃথিবীর ভূত্বকের ফাটল দিয়ে প্রবাহিত হলে গঠিত হয় স্বর্ণের আকরিক ধমনি।
এই খনিটি থেকে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে স্বর্ণ উত্তোলন। খনিটির আবিষ্কারক দলের অন্যতম সদস্য চেন রুলিন সিনহুয়াকে বলেছেন, খনিটির যে কোনো পাথর ভাঙা মাত্রই সেটির ভেতরে আমরা স্বর্ণের ধমনি দেখতে পাচ্ছি। প্রতি টন আকরিকে গড়ে ১৩৮ গ্রাম বিশুদ্ধ স্বর্ণ পাওয়া গেছে। এই পরিমাণ নেহায়েৎই মন্দ নয়।
আবিষ্কারক দলের উপপ্রধান লিউ ইয়োনজুন জানিয়েছেন যে, স্বর্ণ আহরণের ক্ষেত্রে তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন।
উল্লেখ্য, মূলত যেসব দেশ থেকে বৈশ্বিক বাজারে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ আসে, তাদের মধ্যে অন্যতম চীন। বৈশ্বিক স্বর্ণের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ২০২৩ সালে মোট চাহিদার ১০ শতাংশ স্বর্ণ এসেছে চীন হতে।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on নভেম্বর ২২, ২০২৪ 10:58 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়া নিয়ে এবার আশার আলো দেখছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেট্রোল পাম্পের মধ্যে আগুন জ্বালানো নিষেধ থাকে সেটি আমাদের সকলেরই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২১ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিবিদরা বলেন, খালি পেটে পেঁপে খাওয়া মোটেও ভালো নয়। এতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের পানির নিচে থাকা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন বছরের শুরুতেই সিনেমাপ্রেমীরা হিসাব কষতে বসেন, নতুন বছরে প্রিয়…