দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনারের নতুন স্মার্টফোন এক্স৭সি বাজারে আসার আগেই রেকর্ড-সংখ্যক প্রি- বুকিংয়ের মাধ্যমে টেকপ্রেমীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পাশাপাশি, অনার এক্স৬বি’র পার্পল রঙের নতুন ফোনটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
মাত্র ২২,৯৯৯ টাকা মূল্যের অনার এক্স৭সি গত বছরের প্রি-অর্ডারের তুলনায় শতভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। সুইস এসজিএস প্রিমিয়াম পারফরমেন্স সার্টিফায়েড এই স্মার্টফোনটি ৫-তারকা ড্রপ রেজিসট্যান্স রেটিং এবং আইপি৬৪ রেটিংসহ ড্রপ অ্যান্ড ক্রাশ রেজিসট্যান্সের ক্ষেত্রে অসাধারণ স্থায়িত্ব দেখিয়েছে।
একইসঙ্গে, এর ৬,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি ও ৩৫ ওয়াটের অনার সুপারচার্জ টেকনোলজির সহায়তায় ব্যবহারকারীরা ফোনে মাত্র ২ শতাংশ চার্জ থাকা সত্ত্বেও টানা ৫৫ মিনিট কথা বলার সুযোগ পাবেন। এতে র্যাম বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ থাকছে। ফলে, ব্যবহারকারীরা এখন ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের (রম) পাশাপাশি, ১৬ জিবি (৮ জিবি + ভার্চ্যুয়াল ৮ জিবি) র্যাম টার্বো টেকনোলজি উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ সমৃদ্ধ এই ডিভাইসটিতে আলট্রা-ক্লিয়ার ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা রয়েছে।
আর নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি বা ভিডিও উপভোগ করতে রয়েছে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের ৬.৭৭ ইঞ্চির টিএফটি এলসিডি ডিসপ্লে। ক্ষতি থেকে চোখ বাঁচাতে এর স্ক্রিনে টিইউভি রাইনল্যান্ড লো ব্লু লাইট সার্টিফিকেশন ব্যবহার করা হয়েছে। নান্দনিক এই স্মার্টফোনটি মিডনাইট ব্ল্যাক, ফরেস্ট গ্রিন ও মুনলাইট হোয়াইটের মতো অনিন্দ্য সুন্দর রঙে পাওয়া যাচ্ছে।
অনার এক্স৬বি স্মার্টফোনেও অনন্য সব ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ক্যামেরা, সুবিশাল ৫,২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি, ৩৫ ওয়াটের টার্বো-চার্জিং ফিচারের অনবদ্য এই হ্যান্ডসেটটির দাম মাত্র ১৪,৯৯৯ টাকা। তার ওপর, এর নতুন নিয়ে আসা পার্পল কালারের ফোনটি মানুষের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
অনারের নতুন এই স্মার্টফোনগুলো অনবদ্য সব ফিচারের কারণে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় জিতে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, অনারের সকল পণ্যে ক্রেতারা যেন আকর্ষণীয় অফার উপভোগ করতে পারেন সেজন্য, এই নভেম্বরে মাসব্যাপী উইন্টার ক্যাম্পেইন নিয়ে আসা হয়েছে। তাহলে আর দেরি কেন, সর্বাধুনিক ফিচারের দুর্দান্ত স্মার্টফোনটি এখনই সংগ্রহ করুন। আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- http://www.smart- honor.com.
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org