দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শবনম ফারিয়া। ছোট পর্দার জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। ইদানিং নাটকে অনেকটাই অনিয়মিত। শোবিজেও আগের মতো দেখা যায় না তাকে। ‘ভারপ্রাপ্ত বউ’ নাটকে অভিনয় করেন শবনম ফারিয়া। এই নাটকে তার বিপরীতে ছিলেন মোশাররফ করিম।
নাটকটিতে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন ফারিয়া। তারপর আবারও বেশ বিরতি। জানা যায়, ব্যক্তিজীবন, বর্তমানে পড়াশোনা ও চাকরি নিয়েই ব্যস্ত তিনি। তবে এবার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ফিরছেন- তবে নতুন এক অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। সেটি হলো একজন বিচারক হয়ে ফিরছেন পর্দায়!
শবনব ফারিয়াকে এবার দেখা যাবে বিচারক হিসেবে। এনটিভিতে শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে কমেডি অনুষ্ঠান মার্সেল ‘হা শো’-এর সপ্তম সিজন। এতে বিচারকের আসনে বসবেন শবনম ফারিয়া। তার সঙ্গে আরও দুই বিচারক হিসেবে থাকবেন গুণী অভিনেতা তুষার খান এবং চিত্রনায়ক আমিন খান। নতুন পরিচয়ে দর্শকের সামনে আসতে পেরে ভীষণ আনন্দিত হয়েছেন শবনম ফারিয়া।
এই বিষয়ে শবনম ফারিয়া বলেছেন, ‘সবসময়ই নতুন কিছু করতেই আমার ভালো লাগে। সেই ভাবনা থেকেই ‘হা শো’-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া। সেখানে দু’জন গুণী অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগও পাচ্ছি, এটিও আমার কাছে আনন্দের। আশা করছি এবার জমজমাট আসর হবে। ’
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই দেশের নানা অঞ্চলের প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত প্রতিযোগীদের নিয়ে বিভিন্ন পর্বের রেকর্ডিংয়ের কাজও শুরু হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁও অঞ্চলে এনটিভির স্টুডিওতে চলছে এইসব পর্বগুলোর রেকর্ডিংয়ের কাজ।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ‘হা শো’-এর ফাইনালিস্ট পারফর্মার ছিলেন আবু হেনা রনি। তিনিই এই শো’টির উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের আসরেও তাকে দেখা যাবে উপস্থাপকের ভূমিকায়। ‘হা শো’ পরিচালনা করছেন কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা এবং জাহাঙ্গীর চৌধুরী।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org