দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পেটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (সিসিপ) প্রকল্পের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সিসিপের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে বেসিস সভাপতি এম রশিদুল হাসান ও সিসিপ-এর নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক এবং অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়ালিদ হোসাইন এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ তত্বাবধায়নে ২০২৮ সাল নাগাদ আগামী চার বছরে সর্বমোট ৩০০০ জনকে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে বেসিস-এর পক্ষ থেকে বেসিস সভাপতি এম রশিদুল হাসান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি (অর্থ) এম আসিফ রহমান, পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম ও বেসিস-বিআইটিএম-এর প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী খালেদা বেগম। অন্যদিকে, সিসিপ-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব এবং জাতীয় প্রোগ্রাম পরিচালক (এনপিডি) ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, অতিরিক্ত সচিব ও ডেপুটি নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক (প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট) মো. মাহফুজুল আলম খান এবং সিসিপের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে বেসিস-এর পক্ষ হতে বেসিস সভাপতি এম রশিদুল হাসান বলেন, “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) একটি ক্রসকাটিং সেক্টর। এটি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট খাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং আইসিটি বিভিন্ন খাতের মধ্যে একটি শক্তিশালী ভিত্তিমূলক সহায়ক হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি, তথ্যপ্রযুক্তির বাজার দ্রুতই পরিবর্তন হয়। বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ভবিষ্যতের জন্য দক্ষজনবল তৈরি করতে সময়োপযোগী ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজি ভিত্তিক কোর্স গুলো নিয়েই আমাদের এই প্রোগ্রামটি সাজানো হয়েছে। এই উদ্যোগ দেশের আইটি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলে আমি আশাবাদী। আর এর মাধ্যমে আমাদের কোম্পানিগুলো ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজিতে আরও বেশি দক্ষতার সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
সিসিপ-এর নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক মুহাম্মদ ওয়ালিদ হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, “বেসিসের কৌশলগত কোর্স নির্বাচন অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সিসিপ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দক্ষ এবং উদ্ভাবনী মানবসম্পদ তৈরি করতে চাই, যা বৈশ্বিক আইটি খাতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। আমরা বেসিসের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।”
এই চুক্তি বাংলাদেশের যুবসমাজকে দক্ষ করে তোলা, কর্মসংস্থান বাড়ানো ও বৈশ্বিক আইটি শিল্পে বাংলাদেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
উল্লেখ্য, ‘সিসিপ’ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে অংশীদারিত্বে অর্থ মন্ত্রণালয় পরিচালিত একটি প্রকল্প। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org