দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা ছোট কালে দেখেছি, কারো জ্বর বা কোন অসুখ হলেই বেদানা দেওয়া হতো। তাই অনেকেই মনে করেন, এটি শুধুমাত্র রোগীর জন্য। কিন্তু না, এটি সুস্থ্য সবল মানুষের জন্যও বড়ই উপকারী একটি ফল।
আসলে আমাদের অনেক কিছুরই ধারণা নেই। আমরা সব সময় একটা ভুল ধারণা নিয়ে বসবাস করি। আমাদের ধারণা ছিল বেদানা শুধুমাত্র রোগীদের জন্য। কিন্তু আসলে এই বেদানা সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের জন্যও একান্ত প্রয়োজন। কারণ এতে রয়েছে অনেক রকমের গুণাগুণ।
এতে আছে প্রচুর খনিজ। তাই যাদের রক্তশূন্যতা আছে, তাদের জন্য খুব ভালো। এ ছাড়া আছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ ভিটামিন এ, সি, ই প্রভৃতি পুষ্টি উপাদান।
ঠান্ডা-কাশিতে বেদানা
ঠান্ডায় আক্রান্ত হলে বেদানার রস খেতে পারেন। যখন খুব কাবু হয়ে যাবেন ঠান্ডায়, সারা দিন ধরে একটু একটু করে বেদানার রস খেয়ে নিন। দিন শেষে পার্থক্যটা নিজেই বুঝবেন।
হূৎপিণ্ডের জন্য বেদানা
বেদানার রস হূৎপিণ্ডের মাংসপেশিতে দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও হূদেরাগ প্রতিরোধেও এটি কার্যকর। এক গবেষণায় দেখা গেছে, টানা তিন মাস নিয়ম করে বেদানার রস খেলে হূৎস্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।
বেদানা ত্বক সুরক্ষা করে
এই বেদানা ত্বকে সুরক্ষা বন্ধনী তৈরি করে। ত্বকে নতুন কোষ উৎপাদনকারী উপাদান থাকে বেদানায়। এ ছাড়া চোখের নিচে পড়া বয়সের ছাপ দূর করতে পারে এ ফল।
হাড়ের জন্য বেদানা
পটাশিয়াম ও পলিফেনল আছে বেদানায়, যা হাড় ও হাড়ের সংযোগস্থলের কার্টিলেজের জন্য খুব উপকারী। তাই নিয়মিত বেদানা খেলে অস্টিওপোরেসিসসহ হাড়ের নানাবিধ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
দাঁতের যত্নে বেদানা
বেদানায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দাঁতে প্লাক জমতে বাধা দেয়। এছাড়া মাড়ির জিনজিভাইটিস রোগ প্রতিরোধেও বেদানার ভূমিকা অপরিসীম। তাই দাঁত সুরক্ষায় বেশি করে বেদানা খেতে হবে।
তাই আসুন শুধু রোগীর পথ্য হিসেবে নয়, আমরা সবাই প্রতিদিন অন্যান্য ফলের সঙ্গে নিয়মিতভাবে বেদানা খাওয়ার চেষ্টা করি। তাহলে আমরা সুস্থ্য সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবো।