দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক ভিডিওতে দেখা যায়, কলকাতা মেট্রোর মধ্যে এক মহিলা যাত্রী অন্য মহিলা যাত্রীকে বলছেন যে, ‘‘আপনি বাংলাদেশে নয়, ভারতে রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ ভারতেরই একটি অংশ, আপনাকে অবশ্যই হিন্দি শিখতে হবে!’’
ভারতে রয়েছেন, বাংলাদেশে নয়। সে জন্য বাংলার পাশাপাশি হিন্দিটাও জানা দরকার। ভাষা নিয়ে কলকাতা মেট্রোর অন্দরে দুই মহিলার কলহে হুলস্থুল পড়ে যায় শহর জুড়ে। উঠেছে নানা ধরনের প্রশ্ন। বিতর্কের সূত্রপাত একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে। ভাইরাল সেই ভিডিওতে বাংলা ভাষায় কথা বলা নিয়ে মেট্রোর অন্দরে তর্ক করতে দেখা যায় দুই মহিলাকে। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিওতে দেখা যায়, কলকাতা মেট্রোর মধ্যে এক মহিলা যাত্রী অন্য মহিলা যাত্রীকে বলছেন যে, ‘‘আপনি বাংলাদেশে নয়, ভারতে রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ ভারতেরই একটি অংশ, আপনাকে অবশ্যই হিন্দি শিখতে হবে।’’ তাঁকে আরও বলতে শোনা যায় যে, ‘‘আপনি বাংলা বলতে জানেন, তবে ভারতে বসবাস করেও হিন্দি বলতে জানেন না কেনো?’’ এইসব কথা শুনে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন দ্বিতীয় মহিলা। তাকে ‘বাংলাদেশি’ বলায় তিনি অপমানিত হন বলেও উল্লেখ করেন। তারপর তিনি বলেন যে, ‘‘আমি পশ্চিমবঙ্গে থাকি, আপনার জায়গাতে নয়।’’ তখন আবার পাল্টা উত্তর আসে তার। প্রথম মহিলা ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘‘এই মেট্রো ও পশ্চিমবঙ্গ আপনার নয়।’’ উত্তরে দ্বিতীয় জন আবারও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ আমার, মেট্রোও আমার। আমার দেওয়া করের টাকায় এটি তৈরি করা হয়েছে, আপনার টাকা দিয়ে নয়।’’ তারপর ভিডিও করা নিয়ে প্রথম মহিলা দ্বিতীয় মহিলাকে মামলা করার হুমকি দেন। দু’জনের বাগ্বিতণ্ডার মধ্যে আরও কয়েক জন যাত্রীকে কথা বলতে যায়। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে ভিডিওটি পোস্ট করেন অভিনব পাল নামে জনৈক ব্যবহারকারী। ভিডিওটি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। বহু বার দেখা হয়েছে ওই ভিডিও। লাইক-কমেন্টের ঝড়় উঠেছে রীতিমতো। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org