দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিডনি শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ! শরীরের ওই অঙ্গটি কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায়, কিডনি নিজের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পর। তখন চিকিৎসার জন্য ছোটাছুটি, ব্যয়বহুল ডায়ালেসিসে ভরসা করা ছাড়া আর কোনো গতি থাকে না। তাহলে এই কিডনি ভালো রাখতে কোন খাবার খাবেন বা খাবেন না?
শরীরে সারাদিন ধরে যা যা দূষণ জমতে থাকে, কিডনির কাজই হলো, সেই দূষণ শরীর থেকে সময়মতো বের করে দেওয়া। কঠিন ওই কাজখানা নিয়ম মেনে হয় বলেই আমাদের শরীর সুস্থ থাকে। যদিও কিডনির কাজের মর্ম নিত্যদিন কেইবা বোঝে! শরীরের ওই অঙ্গটি কতোটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি বোঝা যায়, কিডনি নিজের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পর। তখন চিকিৎসার জন্য ছোটাছুটি, ব্যয়বহুল ডায়ালেসিসে ভরসা করা ছাড়া আর কোনো গতি থাকে না। সেই পরিস্থিতির মুথোমুখি না হতে চাইলে আগে থেকেই সতর্ক হওয়াটা জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো, ‘‘কিডনি আমাদের শরীর পরিচ্ছন্ন রাখে সেটি ঠিক। তবে সেই প্রক্রিয়ায় কিডনিও তো অপরিচ্ছন্ন হয়ে যেতে পারে। কিডনি ভালো রাখতে হলে তাকেও নিয়মিত দূষণমুক্ত করে পরিচ্ছন্ন রাখাটা অত্যন্ত জরুরি।’’
কিডনি কীভাবে পরিচ্ছন্ন রাখবেন?
এই বিষয়ে আমেরিকার ওয়াশিংটনের চিকিৎসক এরিক বার্গ বলেছেন, ‘‘প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কিছু খাবার রাখলে ও কিছু খাবার বাদ দিলে সেটি কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারে। কিডনি পরিচ্ছন্ন রেখে বিভিন্ন রোগের সমস্যাও তখন দূরে রাখে।’’ চিকিৎসক এরিক বার্গের মতে, কিডনি ভালো রাখতে যেসব খাবার খাওয়া উচিত কিংবা উচিত নয়,
তা হলো:
অক্সালেট যুক্ত সব্জি
বাঁধাকপি, অ্যাসপারাগাস, খেজুর, সেলেরি, পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অক্সালিক অ্যাসিড ও ক্যালসিয়াম। চিকিৎসক বার্গ বলেছেন, ওই সমস্ত খাবার কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি করে। তাই অক্সালেট বেশি রয়েছে এমন সব্জি খাওয়ায় রাশ টানতে হবে।
বেশি ম্যাগনেশিয়াম থাকা খাবার
চিকিৎসক বার্গ জানিয়েছেন, কিডনিতে ক্যালশিয়াম জমে পাথর তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে এই ম্যাগনেশিয়াম। কুমড়ার বীজ, সবুজ শাকপাতা, অ্যাভোকাডো জাতীয় খাবার কিডনিতে ফসফেটের কুপ্রভাবকে দূরে রাখে।
মাছে থাকা উন্নত মানের প্রোটিন
কিডনি সমস্যায় বেশি প্রোটিন খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। আবার শর্করা জাতীয় খাবারে রাশ টানতে বলা হয়েছে, রক্তে উচ্চমাত্রার শর্করা থাকলেও তা কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এইসব ক্ষেত্রে মাছ খুব ভালো প্রোটিনের জোগানদারও হতে পারে। কারণ হলো মাছে থাকা প্রোটিন যেমন- স্বাস্থ্যকর, তেমনই মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
আর কীভাবে কিডনি দূষণমুক্ত রাখা যাবে?
নিয়মিতভাবে কিডনি পরিচ্ছন্ন রাখার আরও বেশ কিছু উপায় বিদ্যমান। যেমন- পানি বেশি খাওয়া, লবণ খাওয়ার মাত্রা কমানো, প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়া, ড্যান্ডেলিয়ান চা’ও কিডনি পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বেশ উপযোগী। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪ 2:10 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অত্যাধিক গরমে ডিহাইড্রেশন, হিটস্ট্রোক, বদহজমের মতো নানা সমস্যাও দেখা দেয়।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড-এর পরিচালনা পর্ষদের এক সভা ২২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে “আর্ট এক্সচেঞ্জ: মুভিং ইমেজ” প্রকল্পের আওতায় কিউরেটর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাতারের রাজধানী দোহায় ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য ‘এশিয়ান মেগা কনসার্ট’-এ উপস্থিত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম বৃহৎ ও মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক আয়োজন ‘জাপান…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, গ্রাহকদের ‘বিশেষ পরিষেবা’ প্রদান করে…