দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের (এসএমবি) নিয়ে টিকটক একটি বিশেষ ওয়ার্কশপ আয়োজন করে। ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এই ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়।
এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী, বিপণনকারী ও উদ্যোক্তারা। ব্যবসার মার্কেটিং, প্রমোশনাল স্ট্রাটেজির জন্য কীভাবে টিকটক প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করা যায় সেটি সম্পর্কেও জানতে পারেন ইভেন্টটির অংশগ্রহণকারীরা।
ব্যবসা বৃদ্ধি করতে ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশে এসএমবিগুলোর জন্য টিকটকের এই ওয়ার্কশপটির উদ্যোগ গ্রহণ করে। কীভাবে টিকটকের বিশেষ ফিচারগুলো কাজে লাগিয়ে প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে ব্র্যান্ডের প্রচার ও তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায়, সেটি নিয়ে দিনব্যাপী ওয়ার্কশপটিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়াও, সৃজনশীলভাবে টিকটকে কীভাবে উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য এবং পরিষেবাগুলো তুলে ধরতে পারে সেটি সম্পর্কেও জানতে পারেন অংশগ্রহণকারীরা।
এই ওয়ার্কশপটির অন্যতম একটি অংশও থাকে বিশেষজ্ঞদের সেশন। এই পর্বে টিকটকের মাধ্যমে ব্যবসায়ের প্রচারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। টিকটক প্ল্যাটফর্ম এ কনটেন্ট তৈরির টুলস, প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়মাবলী ও টিকটকের কার্যকর কৌশলগুলোও তুলে ধরা হয়। অংশগ্রহণকারীরা যা শিখেছে তা যেনো তারা ব্যবসায় প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে ওয়ার্কশপটি তথ্যমূলক ও ইন্টারেক্টিভ উভয়ভাবেই এটি ডিজাইন করা হয়।
ওয়ার্কশপটির অন্যতম প্রধান দিক ছিল টিকটকে কনটেন্ট তৈরিতে সত্যতা ও সৃজনশীলতার গুরুত্বের বিষয়টি। গতানুগতিক মার্কেটিং কিংবা বিপণন পদ্ধতির বাইরে চিন্তা করতে ও নতুনভাবে ব্র্যান্ডগুলো অনলাইনে তুলে ধরতে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহিত করা হয়। ব্যবহারিক এও রিয়েল-টাইম অনুশীলনের মাধ্যমে ব্যবসায়ের উদ্যোক্তারা টিকটকে সম্ভাব্য গ্রাহকদের জন্য কীভাবে কনটেন্ট তৈরি করতে পারবে সেটি সম্পর্কেও জানতে পারেন।
এই আয়োজনে বিভিন্ন ব্যবসায়ের মালিক ও কর্মীরা পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগও পায়। এতে উঠে আসে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের ব্যবসার নানা চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান। কয়েকজন অংশগ্রহণকারী বলেন যে, এই ওয়ার্কশপটি ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়ের বিকাশ ও নতুন গ্রাহকের কাছে খুঁজে পেতেও সহায়তা করবে।
ডিজিটাল যুগে বিশ্বের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ডিজিটাল মিডিয়ার টুলস ও রিসোর্স নিশ্চিত করা টিকটকের প্রতিশ্রুতিরই একটি অংশ। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসা কিংবা এসএমবি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই দেশের এই ব্যবসা খাতের উন্নয়নে টিকটক মূল অংশীদার হওয়ার লক্ষ্যও রাখে। জানা গেছে, এই ওয়ার্কশপটি সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের জন্য আরও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে টিকটকের।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org