দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) পরিচালনা পর্ষদ বাতিল এবং প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ে বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগ থেকে প্রাপ্ত চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বেসিস কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৪-২৬ এর পক্ষ হতে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে কয়েকটি তথ্যের ব্যাখ্যা প্রদান করেছে।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের ২৬.০০.০০০০.১৫৭.৩৩.০২৮.৯৮.৭৯৫ নং স্মারক অনুযায়ী ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। উক্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এবং সহ-সভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসানের পদত্যাগপত্র ডিটিও-তে কাছে প্রেরিত হয়নি। এখানে উল্লেখ্য যে, গত ২৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে স্মারক নং বেসিস/ডিটিও/৯৬৪৯/২৪-এর মাধ্যমে বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় যে, উক্ত ব্যক্তিবর্গ বেসিস পরিচালনা পর্ষদ থেকে ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। পুনরায় ১০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে স্মারক নং বেসিস/ডিটিও/৯৬৬৯/২৪-এর মাধ্যমে উক্ত পদত্যাগ বিষয়ে বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগকে অবহিত করা হয়। ১৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে স্মারক নং বেসিস/ডিটিও/শুনানি/৯৬৭৯(৩)/২৪-এর মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তিন পৃষ্ঠার একটি বিশদ বিবরণ জমা দেওয়া হয়, যেখানে পদত্যাগপত্রসহ প্রাসঙ্গিক দলিল সংযুক্ত ছিল। পাশাপাশি, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত ৩৩২তম নির্বাহী পরিষদ সভায় নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং বিষয়টি যথাযথভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বর্ণিত অফিস আদেশের অপর একটি অনুচ্ছেদে রাসেল টি আহমেদের শুনানিতে অনুপস্থিতি এবং কোনো জবাব প্রদান না করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, উক্ত শুনানির সময়কালীন রাসেল টি আহমেদ বেসিস পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন না। তিনি ১৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন, যা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ফলে, পদত্যাগের পর পরিচালনা পর্ষদে তার আর কোনো আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব বা ভূমিকা না থাকায় উক্ত শুনানিতে তার উপস্থিতি বা সংশ্লিষ্টতার প্রয়োজনীয়তা ছিল না।
এছাড়াও, অফিস আদেশে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা অমূলক এবং বেসিস-এর কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতা ও স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে । বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ গত চার মাসে ১০০টিরও বেশি মিটিং, সেমিনার এবং কর্মশালা অত্যন্ত সফলভাবে আয়োজন করেছে। প্রতিটি কার্যক্রম অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং সময়োপযোগী পরিকল্পনার আলোকে বাস্তবায়িত হয়েছে।
বেসিস কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৪-২৬ এর পক্ষ থেকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে কয়েকটি তথ্যের ব্যাখ্যা আজ ডিটিও বরাবর ইমেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপরুক্ত সকল বিষয়ের তথ্য উপাত্ত বেসিস সচিবালয়ে সংরক্ষিত আছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org