দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বানভাসি মানুষদের গল্প ‘নয়া মানুষ’। এই সিনেমাটি স্টার সিনেপ্লেক্সের পান্থপথ ও মিরপুর শাখা ছাড়াও আরও মুক্তি পেয়েছে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাস, শ্যামলী সিনেমা, দিয়াবাড়ির ম্যাজিক মুভি থিয়েটার, কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমাস ও ময়মনসিংহের পূরবী সিনেমা হলে।
বয়াতি আগেই জানিয়েছেন যে, মুক্তির প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ছবির কলাকুশলীদের নিয়ে ‘নয়া মানুষ’ উপভোগ করবেন তিনি। মুক্তির দিনে দুপুর ২টার শো’তে বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘নয়া মানুষ’ টিম উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন বয়াতি।
চরের মেহনতী মানুষের জীবন এবং প্রকৃতির খেয়ালিপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আ. মা. ম. হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালু চরে’ গল্প অবলম্বনে মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এই সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, ঝুনা চোধুরী, রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, নিলুফার ওয়াহিদ, স্মরণ সাহা, বদরুদ্দোজা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, মেহারান সানজানা, পারভীন পারু, মেরি এবং শিশুশিল্পী ঊষশী প্রমুখ।
দেশের অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ’র ব্যানারে নান্দনিক ফিল্মসের প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে এই সিনেমাটি। সিনেমাটির প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া।
জুলাই বিপ্লবের পর সিনেমা পাড়ায় কিছুটা শৈথিলতা দেখা দেয়। বেশ কিছু ভালো সিনেমা মুক্তি থেকে বিরত ছিলো। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে এই সিনেমাটি মুক্তির পরই এই দুই দিনেই বেশ সাড়া দেখা যাচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org