দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সম্মত হয়েছেন সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি।
গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দেশটিতে স্বৈরশাসক হিসেবে পরিচিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর এক বৈঠকও হয়। ওই বৈঠকেই ক্ষমতা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী জালালি। -খবর সিএনএনের।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ক্ষমতা হস্তান্তরের সিদ্ধান্তকে সমস্ত ইসলামী জাতির বিজয় বলে অভিহিত করেন বিদ্রোহী নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আল আরাবিয়া টিভির বরাতে বলা হয়, সিরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি বিদ্রোহী সালভেশন গভর্নমেন্ট-এর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সম্মত হন। তবে, আগামী মাসগুলোতে দেশটিতে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দামেস্কে থাকবেন তিনি।
গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার দুই যুগের প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতন ঘটায় দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম। দেশ থেকে পালিয়ে পরিবারসহ রাশিয়ায় আশ্রয় গ্রহণ করেছে আসাদ।
ক্ষমতা গ্রহণকারী গোষ্ঠীর প্রধান আবু মোহাম্মেদ আল জোলানি বিজয়ের পর প্রথম ভাষণ দেন। তিনি দেশটির রাজধানী দামেস্কের উমায়েদ মসজিদে ভাষণে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন যে, এই জয় সব সিরিয়ানদের জয়।
তিনি বলেছেন, আসাদ সরকার হাজারও সাধারণ নিরীহ মানুষকে অবৈধভাবে সাজা দিয়েছে। আমরা বৈধভাবে লড়াই করেই বিজয় অর্জন করেছি। এই জয়ের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, সৃষ্টিকর্তা কখনও নিরাশ করেন না। এই জয় সব সিরিয়াবাসীরই জয়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org