দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলটা), ডিপার্টমেন্ট অব ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেস (ডিইএমএল), যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) সহযোগিতায় গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলটা-এনএসইউ আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং ১১তম বেলটা আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় ঘটিত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো নিয়ে আলোচনা করতে ‘রি/এনভিশনিং প্যারাডাইমস ইন ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ এডুকেশন’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
একইসাথে, অংশীজনদের জন্য ভাষা শিক্ষার পরিবর্তনে যে চাহিদা তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে এই আয়োজন।
আয়োজনে সবাইকে স্বাগত জানান বেলটার প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ বশির এবং এনএসইউ’র ডিপার্টমেন্ট অব ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেসের চেয়ার ও সহকারী অধ্যাপক ড. নাজিয়া মনজুর। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লিডসের স্কুল অব এডুকেশনের ইন্টারন্যাশনালাইজেশন’র অ্যাকাডেমিক লিড ও টেসোল’র সিনিয়র লেকচারার মার্টিন ল্যাম্ব।
আয়োজনে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজা, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজেসের পরিচালক ও অধ্যাপক ড. শায়লা সুলতানা এবং মাহিদল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চের জার্নাল ম্যানেজার এবং ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ স্পেশালিস্ট অধ্যাপক ডেভিড ডি. পেরোডিন। ট্রান্সল্যাঙ্গুয়েজিং, মাল্টিলিঙ্গুয়াল টিচিং স্ট্র্যাটেজিস এবং পেশাগত উন্নয়নের মতো ইংরেজি ভাষা শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর আলোচনা করেন ইনস্টিটিউট অব টিচার এডুকেশনের ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্সের প্রভাষক ড. ডেভিড তেহ, এনইএলটিএ কারনালি’র প্রেসিডেন্ট ধানি রাম শর্মা এবং ইন্দোনেশিয়ার ইউনিভার্সিতাস তানজুংপুরার সহযোগী অধ্যাপক ড. ইখসানুদিনের মতো বিশিষ্ট স্কলার এবং বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়াও, ‘প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব ওবিই ইন দ্য ডিপার্টমেন্ট অব ইংলিশ’ শীর্ষক আলোচনা, ‘পাথওয়েস ফর প্রোমোটিং সাসটেইনেবল পার্টনারশিপস: স্ট্রেন্থেনিং ল্যাঙ্গুয়েজ টিচার অ্যাসোসিয়েশন টাইস’ শিরোনামে প্যানেল আলোচনা এবং ‘পার্সপেক্টিভ অন দ্য ফিচার অব ইংলিশ ইন দ্য গ্লোবাল সাউথ’ শীর্ষক বেলটা’র মূল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইন্টেগ্রেটিং ডিজিটাল লার্নিং রিসোর্সেস ইনটু ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাসরুম,’ ‘সোশ্যাল ইমোশনাল লার্নিং (এসইএল)’ এবং ‘ইনস্টিলিং ইন্টেগ্রিটি: প্রোমোটিং ভ্যালুস অ্যান্ড এথিকস ইন প্রাইমারি অ্যান্ড সেকেন্ডারি ক্লাসরুমস’ শীর্ষক পোস্টার উপস্থাপন ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ অ্যাকাডেমিক পর্যন্ত সবাই ভাষা নীতি, অনুবাদ অধ্যয়ন, ব্যবহারিক ভাষাতত্ত্ব, বিশেষায়িত শিক্ষা, শিক্ষাগত নেতৃত্ব, অ্যাকাডেমিক ডায়ালগ ও তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে এসকল বিষয়ে জ্ঞান সমৃদ্ধ করার মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আলোচনা ও নিজেদের গবেষণা উপস্থাপন করেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি শিক্ষক, গবেষক ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সংযুক্ত হওয়া, আলাপ-আলোচনা করা ও সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক অনন্য সুযোগ তৈরি হয়। এ বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বলেন, “পার্টনারদের সহযোগিতায় ১১তম বেলটা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের আয়োজন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় জ্ঞান বিনিময় ও বৈশ্বিক সহযোগিতা শক্তিশালী করতে; এবং উদ্ভাবনী ও কার্যকরী শিক্ষা অনুশীলন নিশ্চিত করার পাশাপাশি, ইংরেজি ভাষা শিক্ষা সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ও বিশ্বস্ত অংশীজন হিসেবে যুক্তরাজ্যের মর্যাদা সমুন্নত করতে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
আয়োজনে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর সারওয়াত রেজা ইংরেজি ভাষা দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন মূল্যায়ন পরীক্ষা যেমন আইইএলটিএস, টোফেল ও অ্যাপ্টিসের ওপর উপস্থাপনা প্রদর্শন করেন।
পরবর্তীতে, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সিনিয়র অ্যাকাডেমিক ম্যানেজার ইমরান সাইফুর ‘বিং এ টিচার উইথ ডিজেবিলিটিজ: পারস্পেক্টিভস, প্র্যাকটিসেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ’ শীর্ষক সাম্প্রতিক একটি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন। ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের সহযোগিতায় পরিচালিত এই গবেষণায় প্রতিবন্ধি শিক্ষকদের সক্ষমতা এবং প্রতিবন্ধকতার বিষয়গুলো উঠে আসে; এই পেশায় তাদের অবদানের ওপর গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান চৌধুরীর মতো দেশের অ্যাকাডেমিক পরিসরের বিভিন্ন প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org