দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার রান্নাঘর আপনারই রুচির প্রকাশ করে। পরিবারের প্রিয় মানুষগুলোর জন্য প্রতিদিনের সাধারণ রান্নাবান্নার মধ্য দিয়েই এখানে তৈরি হয় অসাধারণ কিছু মুহুর্ত, প্রিয় কিছু স্মৃতি। তাই আপনার রান্নাঘরের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ রেফ্রিজারেটরটিরও হওয়া চাই সাধারণের চেয়ে একটু বেশি কিছু।
বাজারে আসা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসুবিধা সম্পন্ন আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো এখন রীতিমতো রেফ্রিজারেশনের সংজ্ঞাই বদলে দিচ্ছে। উদ্ভাবনী ডিজাইন আর আকার-আকৃতিগত নতুনত্বের কারণে রান্নাঘর বা ডাইনিং স্পেসের সেরা ব্যবহার নিশ্চিত করছে এই রেফ্রিজারেটরগুলো। তবে সেক্ষেত্রে স্টোরেজ স্পেসেও ছাড় দিতে হবে – এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। নতুন প্রজন্মের এই রেফ্রিজারেটরগুলো বাইরে থেকে যতটা স্লিক-এন্ড-স্লিম দেখায়, ভেতরে ততটাই প্রশস্ত, আর খাবারের গুণমান অটুট রাখতেও সমান কার্যকর।
শীতের আলসে আমেজ আর বছর শেষে বিভিন্ন ছুটিকে সামনে রেখে অনেকেই এখন পরিবার আর বন্ধু-বান্ধব নিয়ে গেট-টুগেদার আয়োজন করছেন। অনেকের জন্য একসাথে রান্নার আয়োজন করতে চাই প্রচুর পরিমাণ বাজারসদাই। এক্ষেত্রে যে কারো সেরা সমাধান হতে পারে নতুন ডিজাইনের এই রেফ্রিজারেটরগুলো, যাতে আপনার গত রাতের পিজ্জা থেকে ব্লু চিজের সিক্রেট স্ট্যাশ – সবই এঁটে যাবে কোনো ঝক্কি ছাড়াই! কোটা, মেটালিক, গ্লাস-সহ বিভিন্ন নজরকাড়া ফিনিশিংয়ের এই রেফ্রিজারেটরগুলো ঘরের সৌন্দর্য্য আর নান্দনিকতাও বহুগুণে বাড়িয়ে তুলবে।
নজরকাড়া ডিজাইনের পাশাপাশি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এআই, অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জোরে এই রেফ্রিজারেটরগুলোর গুণ, অর্থাৎ কার্যকারিতাও আগের চাইতে অনেকটা বেড়েছে। ব্যবহারকারীর বিভিন্ন অভ্যাস পর্যালোচনা করে সে অনুযায়ী সেরা সমাধান দিতে সক্ষম এই রেফ্রিজারেটরগুলো। ভেতরের খাবারের পরিমাণ, পরিবারের সদস্যদের খাবার গ্রহণের রুটিন, ইত্যাদি বিবেচনা করে ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বাড়ির এই স্মার্ট অনুষঙ্গ। পাশাপাশি, এটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উপায়ও বলে দেবে আপনাকে, তাই দীর্ঘদিনের জন্য কোথাও বেড়াতে গেলে কিংবা সাধারণ বাজারসদাই রুটিনে হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আসলেও চিন্তার কিছু নেই – যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে স্মার্টফোনের কয়েকটি বাটন চাপ দিলেই নিজেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে নেবে আপনার স্মার্ট রেফ্রিজারেটর।
বাড়িতে নতুন একটি অনুষঙ্গ যুক্ত হলে কার না ভালো লাগে? শৌখিন গৃহী মাত্রই প্রতিনিয়ত বাড়ির অন্দরের সৌন্দর্য্য, পরিবারের সদস্যদের স্বাচ্ছন্দ্য আর সবমিলিয়ে ভালো থাকা নিয়ে নতুন নতুন পরিকল্পনা করতে থাকেন। এই শীতে, জমকালো সব হাউজপার্টি, ক্রিসমাস ডিনার, কিংবা ভালোবাসার মানুষ দু’জনে ছিমছাম থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের আগে আপনার কিচেনের নতুন সদস্য হতে পারে এমন একটি স্মার্ট, স্লিম-এন্ড-স্লিক রেফ্রিজারেটর। বাজারে স্যামসাংয়ের মত নানা শীর্ষ ব্র্যান্ড এআই ও অন্যান্য সুবিধা সম্পন্ন নতুন নতুন মডেলের রেফ্রিজারেটর নিয়ে আসছে, দামও সাধারণের নাগালের মধ্যেই। জীবনটাকে আরও একটু সহজ করে তুলতে তাহলে আর বাধা কোথায়?
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org