দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি মাদক সম্পৃক্ততায় তানজিন তিশাসহ ৪ জন অভিনেত্রীর নাম উঠে এসেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিশেষ অনুসন্ধানে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনাও করছেন।
এই অভিনেত্রী পাশাপাশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও কাজ করছেন তিশা। অভিনয় দক্ষতা দেখিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
এদিকে সিজেএফবি ২৩তম পারফর্মেন্স অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করেছেন তানজিন তিশা। যেখানে মাদক সম্পৃক্ততায় যুক্ত থাকার বিষয়ে নিউজ করায় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিশা বলেন যে, কিছু সাংবাদিক ভাইদের বলতে চাই যে, যাচাই-বাছাই না করেই সত্য মিথ্যা না জেনেই নিউজ করবেন না।
তিনি বলেন যে, মাঝেমধ্যেই যখন একজন আর্টিস্টকে নিয়ে একটি লিখেন তখন আপনাদের একটা বারও মাথায় আসে না যে, একজন শিল্পীর এটা পেশা তবে তার পেছনে তার একটা ব্যক্তিগত জীবনও রয়েছে। যে ব্যক্তিগত জীবনে তার পরিবার রয়েছে, তার সমাজ রয়েছে, বাবা-মা রয়েছে, সেইসঙ্গে রয়েছে ভাইবোন।
তারপর অভিনেত্রী কথায়, আসলে তাদের উপরে কী যায় সেই ব্যাপারটি যদি আমরা একটা বার চিন্তা করি তাহলে আসলে অনেক নেগেটিভ হেডলাইন, অনেক নেগেটিভ নিউজ, অনেক কিছু না আমরা আসলেও আটকাতে পারবো।
সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড তিশা তার বাবাকে উৎসর্গ করে বলেন, তিন বছর পূর্বে আমি বাবাকে হারিয়েছি, এটা এখনও বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হয়, তবে এখন এটা শুনে শান্তি অনুভব করি এটা চিন্তা করে যে, বাবা হয়তো এখন বেঁচে থাকলে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের টক্সিক ব্যাপারগুলো দেখতে হতো। আমি আমার বাবাকে কখনও অ্যাওয়ার্ড উৎসর্গ করিনি। এই অ্যাওয়ার্ড বাবা তোমার জন্যই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org