দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিবিদরা বলেন, খালি পেটে পেঁপে খাওয়া মোটেও ভালো নয়। এতে ‘পেপসিন’ ও ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচকগুলো পাকস্থলীতে গিয়ে গন্ডগোলও বাঁধাতে পারে। তাই ভেবে চিন্তেই পেঁপে খেতে হবে।
সুষম খাবারের মধ্যে পেঁপে খাওয়ার পরামর্শও পুষ্টিবিদরাই দেন। কাঁচা হোক কিংবা পাকায় হোক- পেঁপের পুষ্টিগুণ কিন্তু অনেক। শিশু এবং বয়স্কদেরও পেঁপে খাওয়া ভালো। তবে একটি বিষয় হলো, পেঁপে খেলেই হলো না, সেটি সময় ধরে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে। বেশি উপকার হবে ভেবে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পেঁপে খেয়ে ফেললে তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। সেইসঙ্গে, পুষ্টিবিদরা বলেছেন, খালি পেটে পেঁপে খাওয়া মোটেও ভালো নয়। এতে ‘পেপসিন’ ও ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচকগুলো পাকস্থলীতে গিয়ে গন্ডগোলও বাঁধাতে পারে। শিশুদেরও পেঁপে অবশ্যই পরিমাণ মতোই খাওয়াতে হবে। বেশি পেঁপে খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে? সেটি আজ জেনে নিন।
হজমে সমস্যা হবে
জানা যায়, পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে হজমের সমস্যাও হতে পারে। সেইসঙ্গে পেঁপেতে থাকা ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচক হজম প্রক্রিয়ায় বিঘ্নও ঘটাতে পারে। ‘প্যাপাইন’ অধিক পরিমাণে পেটে গেলে গ্যাসের সমস্যাও হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
অ্যালার্জি সমস্যা
পেঁপের মধ্যে ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচকটি অ্যালার্জিজনিত সমস্যার কারণও হতে পারে। ‘ল্যাটেক্স অ্যালার্জি’ যাদের রয়েছে, তারা অবশ্যই পেঁপে বুঝেশুনে খাবেন। কারণ হলো অ্যালার্জির ধাত থাকলে যদি পেঁপে বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে শ্বাসযন্ত্রে প্রদাহও হতে পারে, ত্বকে চুলকানি ও জ্বালাও হতে পারে।
কিডনিতে পাথর
সাধারণত পেঁপেতে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে এই ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ। তবে, তা খেতে হবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত পরিমাণে পেঁপে খেলে কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কাও বেড়ে যেতে পারে।
অন্তঃসত্ত্বাকে পেঁপে খাওয়ানো
অন্তঃসত্ত্বাকে পু্ষ্টিকর খাবার খাওয়ানো জরুরি এটি ঠিক। তাই রকমারি ফল-সব্জি দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এই সময় পেঁপে খাওয়া মোটেও নিরাপদ নয়। কারণ কাঁচা পেঁপেতে ল্যাটেক্সযুক্ত পদার্থ রয়েছে। তা গর্ভাশয় সঙ্কোচনের কারণও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কাঁচা কিংবা পাকা পেঁপে খেলে প্লাসেন্টায় রক্তক্ষরণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রক্তে শর্করা কমে যাওয়া
সাধারণত পেঁপে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের পেঁপে খাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়। তবে ২০১২ সালের একটি গবেষণা বলছে যে, পেঁপে যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়, তা হলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা কমিয়েও দিতে পারে। যে কারণে ‘হাইপোগ্লাইসেমিয়া’ও দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে ‘হাইপোগ্লাইসেমিয়া’ বিপদের কারণও হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সব কিছুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪ 5:26 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ৩ দিনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিডিও ভাইরাল করতে গিয়ে এক যুবক দেশলাই জ্বালিয়ে পেট্রোলের উপর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২২ পৌষ ১৪৩১…