দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেক প্রতিযোগিতা দেখে থাকি। তবে আজ এমন এক বিচিত্র প্রতিযোগিতার কথা বলবো যা শুনলে যে কেও আশ্চর্য না হয়ে পারবে না। আর সেটি হলো জানাজা নামাজ আদায় প্রতিযোগিতা!
সম্প্রতি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনিতে ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৮ ডিসেম্বর বিবিচিনি ইউনিয়নের দেশান্তরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে ইকরা কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রের সৌজন্যে “এসো কুরআনের আঙ্গিনায়” শীর্ষক এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশান্তরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক লায়ন মোসলেম আলী খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষা অনুরাগী এবং প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য আসলাম খান, সিদ্দিকুর রহমান সিকদার। ওই অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষা অনুরাগী দেশান্তরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের অন্যতম সদস্য জামাল হোসেন খান। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় কলেজ শাখার শিক্ষকবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ইকরা কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র, দেশান্তরকাঠী এম এ খান আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দেশান্তরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ শাখার ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, হামদ ও নাতে রাসুল (সঃ), ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা ও ইকরা কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রের ছাত্রদের জানাজা নামাজ আদায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১৫০ জন প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরুষ্কার বিতরণ এবং দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়। তাছাড়াও উপস্থিত অতিথিদের নিয়ে বিশেষ প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান কোরআন তেলাওয়াত এবং নাতে রাসুল (সঃ) পরিবেশন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org