দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশে নানা অস্থিরতা সত্বেও এ বছর মুক্তি পেয়েছে অন্তত ৫০টি দেশীয় সিনেমা! যারমধ্যে গড়ে ৪-থেকে ৫টি ব্যবসা সফল ছবি পেয়েছে ঢালিউড। তারপরও বলা যায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় হিটের গ্রাফ নিন্মমুখীই!
তবে সকলের ছবিই হিট না হলেও এককভাবে অভিনয়ের জন্য আলোচিত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নায়িকা বা অভিনেত্রী। যোগ-বিয়োগের অঙ্কে তবুও করা হয়েছে আলোচিত কয়েকজন অভিনেত্রীর তালিকা!
জয়া আহসান
ঢালিউডের জনপ্রিয় অন্যান্য নায়িকারা ‘নাম্বার ওয়ান’ সিংহাসন নিয়ে ব্যস্ত, তখন জয়া আহসান তার ক্যারিয়ারের সেরা অভিনয় ক্যারিশমা দেখিয়ে এই বছর ছাড়িয়ে গেছেন অন্য সকলকে। বছরের শুরুতেই জয়া আহসান অভিনীত ‘পেয়ারার সুবাস’ মুক্তি পায়। মস্কো জয়ী নূরুল আলম আতিক পরিচালিত ছবিটি দিয়ে বেশ প্রশংসিতও হয়েছেন তিনি। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন জয়া আহসান। ব্যবসায়িকভাবে ছবিটি ফায়দা তুলতে না পারলেও জয়া আহসান তার অভিনয় দিয়ে প্রশংসা পান। শুধু তা-ই নয়, বছর শেষেও মুক্তি পায় জয়া অভিনীত আকরাম খান পরিচালিত ‘নকশী কাঁথার জমিন’ চলচ্চিত্র। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ছবিটিও ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে!
শবনম বুবলী
২০২৪ সালের অন্যতম আলোচিত নায়িকা শবনম বুবলী। প্রতি বছরের মতো এই বছরেও বুবলী অভিনীত একাধিক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। তবে ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমার জন্য হয়েছেন ব্যাপক প্রশংসিত। অনেকেই বলেছেন, ‘দেয়ালের দেশ’ বুবলীর ক্যারিয়ারের অন্যতম একটি যোগ।
কুসুম সিকদার
২০১৬ সালে বড়পর্দায় দেখা যায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী কুসুম সিকদারকে। বাংলার খ্যাতিমান নির্মাতা গৌতম ঘোষ নির্মিত ‘শঙ্খচিল’ সিনেমায় প্রসেনজিতের বিপরীতে দুর্দান্ত অভিনয় করে পান বাহবা! প্রায় ৮ বছরের দীর্ঘ বিরতির পর এই অক্টোবরে ‘শরতের জবা’র মাধ্যমে বড়পর্দায় ফিরেছেন কুসুম সিকদার। যথারীতি পেয়েছেন প্রশংসাও। ‘শরতের জবা’ সিনেমাতে মূল চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি এর চিত্রনাট্য, প্রযোজনা এবং পরিচালনার দায়িত্বও একাই সারেন কুসুম সিকদার! তার এমন দোর্দণ্ড প্রতাপে ফেরাকে স্বাগত জানিয়েছেন ভক্ত অনুরাগীরাও।
মাসুমা রহমান নাবিলা
অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’ দিয়ে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে বাজিমাৎ করেছিলেন মাসুমা রহমান নাবিলা। সেই সিনেমার পর বড়পর্দায় তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। অবশেষে শাকিব খানের বিপরীতে বছরের শীর্ষ ব্যবসাসফল ছবি ‘তুফান’ এর মাধ্যমে প্রেক্ষাগৃহে দেখা যায় তাকে। রায়হান রাফীর পরিচালনায় এই সিনেমাটিতে শাকিবের বিপরীতে দেখা যায় দুই অভিনেত্রীকে, একজন কলকাতার মিমি চক্রবর্তী, অপরজন নাবিলা। গ্ল্যামারগার্ল হিসেবে মিমি চক্রবর্তীর উপস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে নাবিলার সাবলীল অভিনয় দর্শকের মন ছুঁয়ে গেছে। কমার্শিয়াল ছবির মোড়কে পৃথকভাবে প্রশংসিতও হয়েছেন নাবিলা।
মেহজাবীন
ছোট পর্দা থেকে বড়পর্দায় পা রেখেই যেনো চমকে দিয়েছেন লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার খ্যাত অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। প্রায় ১৪ বছর ধরে ছোটপর্দা মাতিয়ে আছেন মেহজাবীন। ২০২৪ এর শেষ প্রান্তে এসে বড়পর্দার দর্শকদের তিনি জানান দিলেন। ‘প্রিয় মালতী’র হাত ধরে বড়পর্দায় অভিষিক্ত হয়েছেন মেহজাবীন। পেলেন দর্শক এবং সমালোচকদের প্রশংসাও। শঙ্খ দাশগুপ্তের এই সিনেমাটিতে মেহজাবীনের অভিনয়ে মুগ্ধ হননি এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া যাবে না!
এছাড়াও এই বছরে বড়পর্দায় অভিষিক্ত হয়েছেন তাসনিয়া ফারিণ। ধ্রুব হাসানের ‘ফাতিমা’ দিয়ে ছিলেন বেশ আলোচনায়। সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’ এর জন্য মৌসুমী হামিদ, ময়ূরাক্ষীর জন্য ববি, আগন্তুক এবং লিপস্টিক এর জন্য পূজা চেরী, শ্যামা কাব্যের জন্য নীলাঞ্জনা ও কাজলরেখার জন্য সাদিয়া আয়মান এবং মন্দিরা চক্রবর্তী ছিলেন ২০২৪ সালের আলোচনায়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org