দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স শহরের ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারে বর্ষবরণের উদ্যাপনে অতর্কিত গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল বেলায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন শহরের ডা. ডোয়াইট ম্যাককেনা। -খবর সিএনএনের।
এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারের বোরবন ও ক্যানাল স্ট্রিটের সংযোগস্থলে ঘটিত এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হতে কয়েকদিন সময় লাগবে ও নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলার পর নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৩টার পর নিউ অরলিন্স শহরের ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারে জনৈক ব্যক্তি ভিড়ের মধ্যেই পিকআপ ট্রাক চালিয়ে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে যে, গাড়ির চালকও নিহত হন, তবে তার মৃত্যুর কারণ অবশ্য স্পষ্ট নয়।
এই ঘটনায় পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। এফবিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, বুধবার সকালে জনৈক ব্যক্তি নিউ অরলিন্সের বোরবন স্ট্রিটে মানুষের ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে দেয়। এতে কয়েকজন নিহত ও অনেকেই আহত হন। আমরা এটি সন্ত্রাসবাদের কাজ হিসেবেই তদন্ত করছি।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম শামসুদ-দীন জব্বার (৪২), যিনি টেক্সাসের একজন বাসিন্দা। তিনি একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতেও কর্মরত ছিলেন বলে দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে। এফবিআই মনে করছে যে, এই হামলায় তিনি একাই ছিলেন না। আরও কেও থাকতে পারে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org