দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়ঃসন্ধিকাল ও ‘নিষিদ্ধ’ প্রেমের গল্প সিনেমাটি হিমালয়ের কোলে এক শৈলশহরের আবাসিক স্কুলের চৌহদ্দিতে বলা গল্প।
বোর্ডিং স্কুল নিয়ে দুনিয়ার নানা প্রান্তেই নানা ধরনের সিনেমা নির্মিত হয়েছে। ঘটনা, টেনশন ও নস্টালজিয়া-যোগে যেগুলোর বেশির ভাগই উতরেও যায়। তাই গত বছর সানড্যান্স উৎসবে দুই পুরস্কার পাওয়া ‘গার্লস উইল বি গার্লস’ নিয়ে প্রত্যাশাও ছিল। ভারতীয় সমালোচকদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শুচি তালাতির ছবিটিকে নিয়ে আগ্রহী করে তুলেছিল সকলকে; তবে দেখার পর সেটি আর মেলেনি! বরং মনে পড়ে সেই কবে বানানো ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘তিতলি’র কথায়।
‘গার্লস উইল বি গার্লস’ সিনেমাটির ধরন মূলত কামিং অব এজ ড্রামা। সিনেমাটির পরিচালক হলেন শুচি তালাতি। আর এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রীতি পাণিগ্রাহী, কানি কুশ্রুতি এবং কেশব বিনয় কিরণ।
সিনেমাটির গল্প মূলত এমন- মীরা ক্লাসে ফার্স্ট গার্ল। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। তবে গল্প গতি পায় শ্রীনিবাস আসার পরই। বাবার বদলির চাকরির সুবাদে দুনিয়ার নানা প্রান্তের স্কুলেই পড়েছে সে। বিদেশ থেকে এসে সটান ভর্তি হয়েছে মীরার স্কুলে। তারপর যা হয়, অবধারিতভাবে মীরা ও শ্রীনিবাসের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও হয়। মীরার মা অনিলা মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে বেশ সিরিয়াস, বস্তুত মীরার পরীক্ষার জন্য তিনি এখানে এসেছেন। মীরার মা খুব সহজেই বুঝে যান, মেয়ে প্রেমে পড়েছেন। তিনি বাড়িতে ডেকে পাঠান শ্রীনিবাসকে। মীরা-শ্রীনিবাসের প্রেম, যৌন আকাঙ্ক্ষা, দ্বিধা মিলিয়ে চলছিল গল্প ও দশটা কামিং-এজ ঘরানার সিনেমায় যেমন হয় ঠিক তেমনই।
তবে মুশকিল হয় যখন শ্রীনিবাসের সঙ্গে মীরার মায়েরও ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়! তারপর মা-মেয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে এগিয়ে গেছে গল্প।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org