দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ ঘুমনোর সময় ত্বক ‘হিল’ হয়। তাই রাতের স্কিন কেয়ারের উপরেই বেশি জোর দিতে হবে। শুধু নাইট ক্রিম মাখলেই চলবে না। ত্বকের হাল ফেরাতে সাহায্য নিন স্লিপিং মাস্কের উপরেও।
শীতকালে হাজারো সমস্যা থাকে ত্বকের। কখনও ভারি ময়েশ্চারাইজ়ার, কখনও ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে, ত্বক পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সেরা সময় কিন্তু রাত। ঘুমানোর সময় ত্বক ‘হিল’ হয়ে যায়। তাই রাতের স্কিন কেয়ারের উপর বেশি জোর দিতে হবে। শুধু নাইট ক্রিম মাখলেই চলবে না। ত্বকের হাল ফেরাতে সাহায্য নিন স্লিপিং মাস্কের উপরেও।
স্লিপিং মাস্ক আসলে কী?
স্লিপিং মাস্ক মূলত এক ধরনের ময়েশ্চারাইজ়ার। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে ও ত্বকের ‘হিলিং’ পদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। স্লিপিং মাস্ক অন্যান্য ময়েশ্চারাইজ়ারের তুলনায় হাল্কা ও নন-গ্রেসি হয়ে থাকে। শুষ্ক ত্বক, আনইনভেন স্কিন টোন, দাগছোপ, ব্রণ, নিস্তেজ ত্বকের মতো সমস্যা দূর করতেও স্লিপিং মাস্ক বেশ উপযোগী।
স্লিপিং মাস্ক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যা মাথায় রাখবেন?
একটি কথা মনে রাখতে হবে যে কোনও ধরনের ত্বকেই স্লিপিং মাস্ক ব্যবহার করা যায়। শুধু স্লিপিং মাস্ক কেনার সময় কয়েকটি বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে হবে। স্লিপিং মাস্কে কয়েকটি উপাদান থাকাটা জরুরি। সেগুলো কী-কী, আজ দেখে নিন।
# যেমন হাইলুরনিক অ্যাসিড, যা ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। এই উপাদান ত্বকে সতেজতাও ফিরিয়ে আনে।
# নিয়াসিনামিড ত্বককে আরও উজ্জ্বল করে তোলে, ত্বকের লালচে ভাবও কমায়।
# রেটিনল ত্বকের উপর অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসেবেও কাজ করে। এটি যেমন ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে, তেমনি বলিরেখা কমায় ও চামড়াকে টানটান করে রাখে।
# অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও জরুরি। ভিটামিন সি, ই, গ্রিন টিয়ের মতো উপাদান রয়েছে কিনা যাচাই করে নিতে হবে। দূষণের জেরে হওয়া ক্ষয় পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাছাড়াও ত্বকের বার্ধক্যও প্রতিরোধ করে।
স্লিপিং মাস্ক ব্যবহার করবেন যে উপায়ে
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে ফেসওয়াশ কিংবা ক্লিনজ়ার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে করে ত্বকের উপর কোনও ময়লা, ধুলিকণা কিংবা তেল না থাকে। তারপর টোনার ব্যবহার করুন। টোনার ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তারপর এক আঙুল স্লিপিং মাস্ক নিয়ে ত্বকে মেখে নিতে হবে। এটি আঙুল দিয়ে গোটা মুখে মালিশ করুন। তারপর এভাবেই ঘুমিয়ে পড়ুন। পরদিন সকালে ঘুম হতে উঠেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org