দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় অজান্তেই ঘটে যাওয়া কিছু ভুলে এমন সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাহলে আপনাকে কোন ভুলগুলো এড়িয়ে চলতে হবে?
এমনিতেই ত্বকের সমস্যার যেনো শেষ নেই, তার উপর শীতকাল এর দোসর। ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ব্রণ, একের পর এক সমস্যায় জর্জরিত হতে হয় প্রায় সময়। দামি সংস্থার প্রসাধনী থেকে ঘরোয়া টোটকা, সব কিছুই ব্যবহার করার পরও চোখে পড়ার মতো কোনও লাভই হয় না। এর একটা সম্ভাব্য কারণও হতে পারে পরিচর্যায় গলদ। অজান্তেই ঘটে যাওয়া কিছু ভুলে এমন সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাহলে আপনি কোন ভুলগুলো এড়িয়ে চলবেন?
সানস্ক্রিন না মাখা
শীতকালে রোদের তীব্রতা কম থাকে। তাই এই সময় সানস্ক্রিন না মাখলেও চলবে। এই ভাবনা সবচেয়ে বড় সমস্যাও ডেকে আনতে পারে। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সানস্ক্রিন বারোমাসই ব্যবহার করার প্রসাধন। সানস্ক্রিন না মাখলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতিও করে। তাই সানস্ক্রিন মাখতেই হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ময়েশ্চারাইজ়ার না মাখা
শীতকালে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়। তাই এই সময় পর্যাপ্ত ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতেই হয়। তবে অনেকেই সেটা করেন না। ত্বকের ধরন যেমনই হোক না কেনো, শীতে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার না করলে সমস্যা কিন্তু পিছু ছাড়বে না।
মেকআপ না তোলা
শীতকাল মানেই হলো একঝাঁক উত্সব। পার্টি, পিকনিক তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে এরপর বিয়েবাড়ির। অনুষ্ঠান থেকে ফিরে কী মেকআপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়েন? তাহলে ত্বকের সমস্যা আটকানো সম্ভব হবে না। প্রসাধন সামগ্রী ত্বকের কোষের মুখগুলো আটকে দেয়। যে কারণে সেখান থেকেই ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে দেয়। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জানুয়ারী ৬, ২০২৫ 1:43 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বছরের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২ জানুয়ারী ওটিটি প্লাটফর্ম বঙ্গ-তে মুক্তি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে ওষুধ কিনে খেলে লাভের চেয়ে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), দেশের আইটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে যে, অবশেষে গাজায় চলমান সহিংসতা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৮ ডিসেম্বর কর্নাটকের সক্লেশপুরের হাদিগে গ্রামে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৮ পৌষ ১৪৩১…