দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাহরুখ খান এবং গৌরী খানের ৩৩ বছরের দাম্পত্য জীবনে ধর্ম যে কোনো ফ্যাক্টরই নয়, তা বহু সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন শাহরুখ খান।
শাহরুখকে বিয়ে করার পরও ধর্ম পরিবর্তন করেননি গৌরী। তবে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল শাহরুখ খান, গৌরী খান এবং আরিয়ান খানের হজযাত্রার ছবি। সেখান থেকে উঠে এসেছে প্রশ্ন, তাহলে কী বিয়ের ৩৩ বছর পর ধর্ম পরিবর্তন করলেন গৌরী?
১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর হিন্দু রীতিনীতি মেনেই বিয়ে করেন গৌরী এবং শাহরুখ খান। ওই সময় শাহরুখ ছিলেন স্ট্রাগলার। নানা সাক্ষাৎকারে গৌরী জানিয়েছেন যে, কখনই তাকে ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা বলেননি শাহরুখ খান। এমনকি শাহরুখ খান নিজেও পাঠান এবং জওয়ান রিলিজের পূর্বে তিরুপতি গিয়েছিলেন। গৌরী এক সাক্ষাৎকারে আরো জানিয়েছেন, তিনি এবং শাহরুখ বরাবরই একে অপরের ধর্মকে সম্মান করেন।
শাহরুখ খান এবং গৌরীর ৩ সন্তান। আরিয়ান জন্মেছে ১৯৯৭ সালে, সুহানা ২০০০ এবং আব্রাম ২০১৩ সালে জন্মেছে। ছোট থেকেই সন্তানদের ধর্ম নিরপেক্ষ পরিবেশে বড় করেছেন তাদের। মান্নাতে প্রতিবছর ঘটা করে পালন করা হয় দিওয়ালি এবং ঈদ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গৌরী নিজেই জানান যে, আরিয়ান তার বাবার ধর্মেই বিশ্বাসী। আরিয়ান নিয়ম করে নামাজ পড়েন। শাহরুখ জানান যে, তিনি তার সন্তানদের বরাবরই এই শিক্ষায় মানুষ করেছেন যে, তারা কোন ধর্মের সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, তারা ভারতীয়, এটিই তাদের পরিচয়।
তবে বিয়ের ৩৩ বছর কেটে গেলেও এখনও ধর্মান্তরিত হননি গৌরী। নামের সঙ্গে খান পদবি লাগালেও তিনি এখনও হিন্দুই। অপরদিকে তার এবং শাহরুখের মক্কার যে ছবি ভাইরাল হয়েছে, তা পুরোপুরিই AI দিয়ে বানানো। এরসঙ্গে বাস্তবের কোনোই সম্পর্ক নেই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org