দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ রজব ১৪৪৬ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।

যে মসজিদটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি সাতক্ষীরার ঐতিহাসিক তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ। সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা সদর হতে ৩ কিলোমিটার দূরে তেঁতুলিয়া গ্রামে ১৮ শতকের মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন এই তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ।
খুলনা-পাইকগাছা সড়কের পাশে এই মসজিদটি স্থানীয়ভাবে মিয়ার মসজিদ, কিংবা তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ নামে পরিচিত।
মসজিদের মূল নাম হলো তেঁতুলিয়া খান বাহাদুর কাজী সালামতউল্লাহ জামে মসজিদ। মসজিদের গায়ে প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১২৭০ বঙ্গাব্দে মুঘল আমলের জমিদার সালামতুল্লাহ খান কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদের আদলে এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।
এই মসজিদটিতে কোনো জানালা না থাকলেও মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে ৯ ফুট উঁচু ও ৪ ফুট চওড়া ৭টি দরজা। ১২টি পিলারের উপর চুন সুরকি এবং চিটাগুড়ের গাঁথুনিতে নির্মিত মসজিদের ছাদে ৬টি গম্বুজ বিদ্যমান। প্রত্যেকটি গম্বুজের মাথায় আবার অসাধারণ ব্রুজও রয়েছে। এই মসজিদটিতে বড় ৪টি মিনার রয়েছে। প্রত্যেকটি মিনারের পাশেই দু’টি ছোট মিনার উপরে উঠে গেছে।
মসজিদের উত্তর-দক্ষিণ পাশের দেওয়ালে রয়েছে আরও একটি মিনার, পশ্চিম-পূর্ব পাশেও রয়েছে আরও দু’টি মিনার। সবমিলিয়ে মসজিদটিতে ছোটবড় ১৮টি সুউচ্চ কারুকার্য খচিত মিনারও রয়েছে। মসজিদটির উত্তর পাশে দুই একর জমির একটি বড় দিঘী বিদ্যমান। মসজিদ হতে দিঘীর তলদেশ পর্যন্ত সান বাঁধানো সিঁড়ি রয়েছে।
৩ থেকে ৪শ’ বছরের পুরাতন ঐতিহাসিক তেঁতুলিয়া জামে মসজিদটি ১৯৮৭ সাল হতে বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতর রক্ষণাবেক্ষণ করছে। বর্তমানে অযত্ন এবং অবহেলায় সৌন্দর্য হারাচ্ছে মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য এই নিদর্শন। তথ্যসূত্র: https://dainikkalyan.com
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org