বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না: হাঁটতে কিংবা সিঁড়ি ভাঙতেও কষ্ট হয়? কী করলে আরাম পাবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার ইদানীং পায়ে চাপ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলেও কেমন যেনো অসাড় লাগে। চট করে উঠে দাঁড়াতেও পারেন না। যন্ত্রণা নিরাময়ে বাম, স্প্রে ব্যবহার করেন প্রায় সময়। তবে সব সময় তাতে কাজও দেয় না। কী করলে আরাম পাবেন?

হয়তো আপনার শরীরটা একটু ভারি। খুব বেশি হাঁটাচলাও করতে পারেন না। দাঁড়িয়ে থাকলেও অনেক সময় কষ্ট হয়। তাই বলে প্রতি রাতে পায়ের যন্ত্রণা হবে? ইদানীং পায়ে চাপ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলেও কেমন যেনো অসাড় লাগে। চট করে উঠে দাঁড়াতেও আপনি পারেন না। যন্ত্রণা নিরাময়ে বাম, স্প্রে ব্যবহার করেন প্রায় সময়। তবে সব সময় তা কাজেও দেয় না। শরীরচর্চা করলে আরাম পাওয়া যায়, তবে পায়ে এতো ব্যথা হলে প্রতিদিন শারীরিক কসরত করবেন বা কীভাবে? ঘরোয়া কোনও টোটকায় উপশম হতে পারে?

# প্রতি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তেল মালিশ করতে পারেন। তাতে প্রদাহজনিত সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পেশির ব্যথায় আরাম পাবেন। সর্ষে, নারকেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে ১০ হতে ১৫ মিনিট পায়ে মাসাজ করতে পারেন। তেল হালকা গরম করে নিলেই বেশি আরাম হবে।

Related Post

# শরীরে খনিজের ঘাটতি হলে অনেক সময় পায়ের পেশিতে টানও ধরে, আবার যন্ত্রণাও করে। নিরাময়ে গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখেন অনেকেই। তবে ওই পানির মধ্যে অ্যাপ্‌ল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিলেও উপকার পেতে পারেন। ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে অ্যাপ্‌ল সাইডার ভিনেগারে। পানির মধ্যে পা ডুবিয়ে রাখলে ত্বকের সূক্ষ্ম ছিদ্রের মধ্যেদিয়ে খনিজগুলো সহজেই শরীরে প্রবেশ করে। ঘরোয়া এই টোটকায় পায়ের ব্যথাও উপশম হয়।

# পায়ে ব্যথা নিয়ে হাঁটাহাটি কিংবা দৌড়- কোনওটিই বিশেষ ফলদায়কও হবে না। বিভিন্ন গবেষণায় সেই প্রমাণ পাওয়া গেছে। অবশ্য পায়ের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে, নিয়মিত সেগুলো অভ্যাস করলে উপকার পাবেন।

# পুরো শরীরের ভার বইতে বইতে পায়ের হাড় ও পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার খেলে ও শরীরে পর্যাপ্ত রোদ লাগালে সমস্যার সমাধান হতেই পারে। রক্ত পরীক্ষা করে যদি শরীরে ওই খনিজগুলোর অস্বাভাবিক রকম ঘাটতিও দেখা যায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন।

# অনেক সময় পানির অভাবে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। আর তখন শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। সে কারণে ঘুমের মধ্যে অনেকের পায়ের পেশিতে টান ধরে, আবার ব্যথাও হয়। তাই চিকিৎসকরা বলেছেন, সারা দিনে অন্তত ২ হতে ৩ লিটার পানি খেতে পারলে এই ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২৫ 5:34 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

কানাডায় বরফের নিচে আয়োজন হলো পার্টি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…

% দিন আগে

বরফে আচ্ছাদিত রাস্তা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…

% দিন আগে

শীতে ঠোঁট ফাটা হতে রক্ষা পেতে করণীয়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…

% দিন আগে

নাসার রোভার মঙ্গল গ্রহে বজ্রপাতের সম্ভাব্য শব্দ ধারণ করলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…

% দিন আগে

স্বাস্থ্য সচেতন হতে হলে আপনাকে অবশ্যই পেয়ারা খেতে হবে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের অন্যতম শর্ত হলো সঠিক খাবার বেছে নেওয়া।…

% দিন আগে

ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার না বলা কথা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা তার জীবনের অভিজ্ঞতার…

% দিন আগে