আপনি কেমন মানুষ তা আপনার ব্লাড গ্রুপই বলে দেবে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি কেমন মানুষ তা আপনার রক্তের গ্রুপই বলে দেবে। আর আপনার কোন ধরনের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা উচিত, আর কাদেরকে এড়িয়ে চলা বাঞ্চনীয় সেটিও জানতে হবে। শুধু তাই ন-য়, ব্যক্তির ভবিষ্যদ্বাণীও করে দিতে পারে এই রক্তের গ্রুপই।

জাপানে এই ব্লাড-গ্রুপ পার্সোনালিটিকেই বলা হয়, ‘কেতসুয়েকি-গাতা’। এই কেতসুয়েকি-গাতা হলো আসলে এক ধরনের স্যুডো সায়েন্স অর্থাৎ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত না হলেও, এটিকে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হিসেবেই দাবি করা হয়।

বিজ্ঞানীদের দাবি হলো, রক্তের গ্রুপ দেখে মানুষের ব্যক্তিত্ব বলে দেওয়ার বিষয়টিকেও কোনওভাবেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলা যাবে না। বরং, এটিকে তারা কুসংস্কার হিসেবেই বলে থাকেন। তবে জাপানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ব্লাড-গ্রুপ পার্সোনালিটিও বিশ্বাস করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পশ্চিমা দেশগুলোতে ‘কেতসুয়েকি-গাতা’-র প্রতি আগ্রহ ক্রমশই বাড়ছে।

Related Post

১৯৩০ সালে জার্নাল অফ সোশ্যাল সাইকোলজিতে ‘আ স্টাডি অফ টেম্পারমেন্ট অ্যান্ড ব্লাড-গ্রুপস’ শীর্ষক এক রিপোর্টে- ‘কেতসুয়েকি-গাতা’ কথা প্রথম উল্লেখ করেছিলেন জাপানি গবেষক তোকেজি ফুরুকাওয়া। ‘কেতসুয়েকি-গাতা’য় বিশ্বাসীরা মনে করেন, রক্তের ৪টি গ্রুপের ব্যক্তিরা স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হয়ে থাকেন।

এ গ্রুপ

কেতসুকি-গাতা অনুযায়ী, এ ব্লাড গ্রুপের ব্যক্তিরা সাধারণ অন্তর্মুখী, বুদ্ধিমান, রিজার্ভড ও সৎ হন। তারা বেশ খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে থাকেন, অতিরিক্ত সংবেদনশীলও। মস্তিষ্কের কর্টিসল হরমোন বেশি নিঃসরণ হয় বলে তারা সবসময়ই মানসিক চাপে থাকেন। তারা সাবধানী ও সহজেই কাওকে বিশ্বাস করেন না।

বি গ্রুপ

বি গ্রুপের মানুষরা অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই সৃজনশীল, কৌতূহলী ও সক্রিয় হয়ে থাকেন। আবার তাদের স্বভাবে স্বার্থপরতা ও যত্নশীলতা দুইই থাকে। তারা দৃঢ়, স্বতন্ত্রবাদী, নির্ভীক ও স্পষ্টবাদী হন। এর জন্য প্রায়শই তাদের সম্পর্কও নষ্ট হয়।

ও গ্রুপ

কেতসুকি-গাতা অনুযায়ী, ও পজ়েটিভ কিংবা নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের ব্যক্তিরা খুব আত্মবিশ্বাসী হন, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, কর্মঠ, মিশুকে ও সর্বদা হাসি-খুশি প্রকৃতির হয়ে থাকেন। এরা খুব সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করেন। নিজের স্বভাবের জন্য এদের জনপ্রিয়তা বেশ ঈর্ষণীয়।

এবি গ্রুপ

এবি গ্রুপের ব্যক্তিরা সাধারণ মিশ্র ঘরানার হয়ে থাকেন। এরা অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী উভয়ই হতে পারেন। কলা ও বিজ্ঞান বিষয়ে এদের বেশি আগ্রহ থাকে। এরা স্বভাবতই উচ্চাভিলাষী এবং চিন্তাশীলও হন। এরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পছন্দ করেন। তথ্যসূত্র: এই সময়।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২৫ 5:09 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

কাঁচা মরিচের পুষ্টিগুণ জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাঁচা মরিচ আমাদের রান্নাঘরের এক অপরিহার্য উপাদান। খাবারের স্বাদ, গন্ধ…

% দিন আগে

প্রাপ্তবয়স্কদের সিনেমাটি নিয়ে পায়েল যা বললেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৪ নভেম্বর মুক্তি পায় কলকাতার ‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’…

% দিন আগে

“ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার কঠোর নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী…

% দিন আগে

তুরস্কে বিড়াল পেল নাগরিকত্বের স্বীকৃতি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…

% দিন আগে

এক অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…

% দিন আগে

শসার পুষ্টিগুণ জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…

% দিন আগে