দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাত্র ৫ বছর আগেও ‘গ্রে ডিভোর্স’ চর্চায় ছিল না। তবে যতো দিন এগিয়ে যাচ্ছে, বলা ভালো, মানুষের বয়স বাড়ছে, দম্পতিরা বিচ্ছেদের দিকেই ঝুঁকছেন! কিন্তু কেনো এই ‘গ্রে ডিভোর্স’?
এই সময় ‘গ্রে ডিভোর্স’ চর্চা শুরু হয়েছে। এ আর রহমান এবং সায়রা বানু, গোবিন্দা এবং সুনীতা আহুজার- প্রত্যেকেই হাঁটছেন ‘গ্রে ডিভোর্স’-এর পথে। তবে এ আবার কেমন বিচ্ছেদ ঘটছে?
বহু বছরের বিবাহ জীবন। দু’জনেরই বয়স ৫০ পেরিয়ে গেছে। জীবনের এই পর্যায়ে এসেও দু’জনেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন! আর চাইছেন ডিভোর্স। এই দু’জনের যে মাথাভর্তি কাঁচা-পাকা চুল ও প্রায় ২০-৩০-এর বছরেরও বেশি দাম্পত্য জীবনে ইতি টানছেন- এটিই হলো ‘গ্রে ডিভোর্স’।
৫ বছর আগেও ‘গ্রে ডিভোর্স’ চর্চায় ছিল না। তবে যতো দিন এগোচ্ছে, বলা ভালো, মানুষের বয়সও বাড়ছে, দম্পতিরা বিচ্ছেদের দিকেও ঝুঁকছেন। তবে এই ট্রেন্ড শুধু ভারতেই নয়। বিশ্বজুড়ে বহু দম্পতি ‘গ্রে ডিভোর্স’-এর পথেই হাঁটছেন। এই তালিকায় এ আর রহমান, গোবিন্দা, আমির খান, হৃতিক রোশন, হিউ জ্যাকম্যান, টম ক্রুজ়ের মতো বহু তারকাও রয়েছেন।
তবে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক, একসঙ্গে প্রায় ৩০-৪০ বছর কাটানো বৈবাহিক জীবন। এরপর কেনো বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন এইসব দম্পতিরা? এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটা বয়সের পর দায়-দায়িত্বও কমে যায়। সন্তানরা নিজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত হন। সেইসঙ্গে একে-অন্যের প্রতি আকর্ষণও হারাতে থাকেন। একে বলা হয় ‘এম্পটি নেস্ট সিনড্রোম’। বুড়ো বয়সে বিষণ্ণতা- অবসাদ কাজ করে। তখন দু’জনেই চায় বৈবাহিক কিংবা সংসারের চাওয়া-পাওয়া থেকে বেরিয়ে নিজের মতো করে জীবন কাটাতে।
আবার প্রতারণা কিংবা ‘চিটিং’ও ‘গ্রে ডিভোর্স’-এর অন্যতম একটি কারণ। দীর্ঘদিনের সম্পর্কে যদি বিশ্বাস ভেঙেই যায়, সেখানে থাকাটা যে কোনও মানুষের জন্যই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আবার অনেক সময় বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক আকর্ষণ এবং চাহিদাও কমে যায়। তখন মানুষ নিজের শখগুলো পূরণ করতে চান। বৈবাহিক বাঁধন ভেঙে নিজের মতো করে জীবন কাটাতে চান। এটাও ৫০ ঊর্ধ্ব দম্পতিদের ‘গ্রে ডিভোর্স’ নেওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয়। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org