দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদ মানেই বিনোদন। আর এই বিনোদনের প্রধান মাধ্যম হলো সিনেমা। আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে জাজ মাল্টিমিডিয়ার বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘জ্বীন ৩’।
মুক্তির সপ্তাহ তিনেক আগেই প্রকাশিত হয়েছে সিনেমাটির দ্বিতীয় পোস্টার। যেখানে দেখা গেছে আবদুন নূর সজল এবং তানিয়া আহমেদকে। তাদের মধ্যে কালো পোশাকে দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন একটি মেয়ে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া জানিয়েছে যে, প্রথমে ‘জ্বীন’ ও ‘জ্বীন টু’ সফল হয়েছে বিধায় পরের কিস্তি ‘জ্বীন থ্রি’ আসছে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে। এই সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে একেবারে সত্য ঘটনা অবলম্বনে।
‘জ্বীন থ্রি’র পোস্টারে দেখা যায় যে, কালো পোশাকে দু’হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি মেয়ে। যার হাত ভর্তি লম্বা নখ, বড়বড় রক্ত চোষা ভয়ংকর দাঁত! এমন লুকেই ধরা দিয়েছেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া।
তবে পোস্টারে গ্ল্যামারাস নুসরাত ফারিয়াকে প্রথম দেখাতে অনেকেই যেনো চিনতেই পারেনি। নায়িকার এমন হাল রীতিমতো চমকে দেয় নেটিজেনদের- তা বুঝতে কিন্তু বাকি নেই। কৌতূহল দর্শকরা জানতে চাইছেন, নুসরাত ফারিয়া কী আসলেই জ্বীন, ভূত নাকি ভ্যাম্পায়ার? যদিও সিনেমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন যে, সব উত্তর পাওয়া যাবে পুরো সিনেমাটি দেখলে।
সিনেমা ‘জ্বীন ৩’ পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান রোমান। এই নির্মাতা একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘জ্বীন’ ও ‘জ্বীন ২’ অনেক ভালো চলেছে। আমাদের টার্গেট আগের দু’টিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org