দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঋতুস্রাবজনিত ব্যথা-বেদনা-যন্ত্রণায় ভোগাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘ডিজ়মেনোরিয়া’ বলা হয়ে থাকে। প্রতি মাসে এই ধরনের সমস্যাতে ভুগতে হয় বহু মহিলাকে।
শরীরে কোনও খনিজের ঘাটতি হলেই সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদরা। তবে সেই খনিজ-সমৃদ্ধ তেল ত্বকে মাখলে কিংবা মালিশ করলে বিশেষ কোনও লাভ আছে কী? এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, সব খনিজের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। তবে ম্যাগনেশিয়ামের বিষয়টি একটু ভিন্ন।
ঋতুস্রাবজনিত ব্যথা-বেদনা-যন্ত্রণায় ভোগাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘ডিজ়মেনোরিয়া’ বলা হয়ে থাকে। প্রতি মাসে এই ধরনের সমস্যাতে ভুগতে হয় বহু মহিলাকে। কারও কারও পায়ের পেশিতে টান ধরে। এই সমস্ত উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ম্যাগনেশিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার খেতে হবে এবং এই খনিজটি দিয়ে তৈরি বিশেষ এক ধরনের তেল মাখতে বলা হয়। ২০১৭ সালে ‘পাবমেড সেন্ট্রাল’-এর ‘ম্যাগনেশিয়াম রিসার্চ’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, ডিজ়মেনোরিয়া ও ‘প্রিমেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম’ কিংবা ‘পিএমএস’ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ম্যাগনেশিয়ামের বিশেষ ভূমিকাও রয়েছে।
শারীরবৃত্তীয় নানা ধরনের কাজের জন্য ম্যাগনেশিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও দেহের পেশি সচল রাখা, হাড়ের জোর আরও বাড়িয়ে তোলা, স্নায়ুতন্ত্রের কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পরিচালনা করা, ইনসুলিন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা ঠিক রাখা ও হার্টের সামগ্রিক দেখাশোনা করা- এই সব কিছুতেই ম্যাগনেশিয়ামের অনেক কাজ। শুধু কি তাই? অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করতেও এই খনিজটি বেশ উপকার করে। কারণ হলো, ম্যাগনেশিয়াম কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ কিংবা উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যেই রয়েছে এই হরমোনটি।
# ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পূর্বে এবং পরে বহু মহিলাকে অবসাদে ভুগতে দেখা যায়। এমনকি, ঋতুস্রাব চলাকালীন সময় মনমেজাজ বিগড়ে থাকে অনেক মহিলার। ম্যাগনেশিয়াম অয়েল এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। হরমোনের হেরফের অনেকটা সামাল দেওয়া যায় ম্যাগনেশিয়াম অয়েলের ব্যবহারের মাধ্যমে।
# ঋতুস্রাব চলাকালীন জরায়ুর পেশি সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হওয়ার কারণে তীব্র যন্ত্রণাও হয়। ম্যাগনেশিয়াম পেশির এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। যে কারণে যন্ত্রণার তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
# ঋতুস্রাব চলাকালীন শরীরে প্রদাহজনিত ব্যথা-বেদনা বেড়ে যেতে পারে। ম্যাগনেশিয়াম প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কারণ হলো, এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানও রয়েছে।
তাহলে কীভাবে মাখবেন এই ম্যাগনেশিয়াম অয়েল?
পায়ে কিংবা ঊরুতে ম্যাগনেশিয়াম অয়েল মালিশ করার পূর্বে দুই পা ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। তোয়ালে দিয়ে শুকনো করে মুছে নিয়ে এরপর অয়েল মেখে নিন। তারপর অন্ততপক্ষে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর ঈষদুষ্ণ পানিতে পা ধুয়ে ফেলুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মার্চ ১০, ২০২৫ 10:21 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালীন ঝড় এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে ফিলিস্তিনের গাজায় এক ভয়াবহ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার এক সৈকতে একজন কুকুরচালক হঠাৎ দেখতে পান একটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৩ পৌষ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট মাছ যেমন- মলা, কাচকি, পুঁটি, টেংরা, তিনকাটা, খরে ইত্যাদি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি এর ৩০ তম বার্ষিক সাধারণ সভা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গণিতের বিশাল জগতে কোন সংখ্যাটি আসলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে?…