দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিয়েতে দাওয়াত করা হয়েছে। অথচ অতিথিরা পৌঁছানোর পর তাদের জন্য পৃথকভাবে নৈশভোজ (ওয়েলকাম ডিনার)-এর আয়োজন করা হয়। তবে তার জন্য অতিথিদের মাথাপিছু ৪০ ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৭৮৫ টাকার মতো) খরচ করতে হবে!

মাত্র কয়েক মাস পরই আত্মীয়ের বিয়ে। সেখানে যাবেন বলে বিমানের টিকিট কাটা হয়ে গেছে। কেনাকাটাও প্রায় শেষের দিকে। তবে নিমন্ত্রণকর্তার নির্দেশ শুনে ঘাবড়ে গেলেন জনৈক অতিথি। বিয়ের অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়ার খরচ দিতে হবে অতিথিদের! সে কথা আগে থেকেই অতিথিদের জানিয়ে দেওয়া হয়। নেটমাধ্যমে পুরো বিষয়টি লিখে জানিয়েছেন জনৈক অতিথি।
‘আর/ওয়েডিং’ নামে অ্যাকাউন্ট হতে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়। সেই পোস্টে এক নেটিজেন লিখে জানিয়েছেন যে, চলতি বছর অগস্ট মাসে তার এক পরিচিতের বিয়ে। তাদের অধিকাংশ আত্মীয়ই থাকেন কানাডার ভ্যানকুভেরে। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে ইটালির ফ্লোরেন্স শহরে। পাত্র-পাত্রী দু’জনেই ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ করতে চান বলে এই সিদ্ধান্ত। তাই নিমন্ত্রণকর্তা সকল অতিথির জন্যই বিমানের টিকিট কেটে রেখেছেন। এমনকি, ফ্লোরেন্সে গিয়ে থাকার খরচও নিমন্ত্রণকর্তায় বহন করবেন। তবে খাওয়ার পয়সা নাকি অতিথিদের কাছ থেকেই আদায় করছেন তিনি!
পোস্টে লেখা রয়েছে যে, অতিথিরা পৌঁছানোর পর তাদের জন্য পৃথকভাবে নৈশভোজ (ওয়েলকাম ডিনার)-এর আয়োজন করা হয়েছে। তবে তার জন্য অতিথিদের মাথাপিছু ৪০ ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৭৮৫ টাকার মতো) খরচ করতে হবে। অতিথি লেখেন, ‘‘আমি এর আগে কখনও কোনো ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এ যাইনি। যে কারণে এমন নিয়মকানুন সম্পর্কে মোটেও অবগত নই। আমি ভেবেছিলাম নবদম্পতিকে উপহার হিসাবে কিছু নগদ টাকা দেবো। তবে খাওয়ার জন্য পৃথকভাবে টাকা দিতে হবে জানার পর এই অতিরিক্ত উপহার দিতে আর ইচ্ছা করছে না। আমি মানছি, নিমন্ত্রণকর্তার প্রচুর খরচ করেছেন। তবে অতিথিদের নিমন্ত্রণ করে তাদের কাছ থেকে এভাবে খাওয়ার টাকা নেওয়া কী ঠিক?’’ তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org