দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাছে ঝুলন্ত একটি কুমিরকে লেজ দিয়ে পেঁচিয়ে ফেলেছে এক অজগর। কোনও ক্রমে অজগরের প্যাঁচ থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে কুমিরটি। এক লড়াই চলছে তাদের মধ্যে।
পানি ছেড়ে একেবারেই গাছের ডালে উঠে পড়লো এক কুমির! এই দৃশ্য তো সত্যিই অস্বাভাবিক! গাছের ডালে লেজ দিয়ে মাথা নিচু করে ঝুলছে কুমিরটি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পানিতে ধপাস করে পড়লো কুমিরটি। পানির মধ্যেই চললো প্রাণ বাঁচানোর লড়াই। আসলে একটি অজগরের শিকারে পরিণত হয়েছে কুমিরটি। তাই ধ্বস্তাধ্বস্তি করে প্রাণে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টাও করছে কুমিরটি। নেটমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে।
‘রেনহার্ত_সিলভা’ নামে অ্যাকাউন্ট হতে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, একটি কুমিরকে লেজ দিয়ে পেঁচিয়ে ফেলেছে একটি অজগর। কোনও ক্রমে অজগরের প্যাঁচ হতে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে ওই কুমিরটি। তবে অজগর এতো সহজে তার শিকার ছাড়তে রাজি নয়। কুমিরটিকে শিকার করে গাছের ডালে তুলে রেখেছিল । গাছের ডাল থেকে উল্টো হয়ে ঝুলছিল ওই কুমিরটি। নীচে বয়ে চলেছে জলাশয়।
গাছের ডাল থেকে ধপাস করে পানিতে পড়ে যায় কুমিরটি। পানিতে পড়ে গিয়ে ছটফট করতে থাকে। তবে তারপরও অজগর ছাড়ার পাত্র নয়। সেও ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানেই শেষ হয়ে যায় ভিডিওটি। ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে দুই সরীসৃপের লড়াইয়ের ভিডিওটি দেখে ভয় পেয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মার্চ ৩০, ২০২৫ 5:50 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্ত্রী চিতা ও তার চার শাবককে পানি খেতে দিচ্ছেন এক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৫ বৈশাখ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী কাজল কখনই তার নামের সঙ্গে কোনো পদবি ব্যবহার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাড়ির বাগানে ফণা তুলে দাঁড়িয়ে…