ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের বদলে এবার ‘কমিউনিটি নোটস’ আনছে মেটা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তথ্য যাচাই প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট মেটা। এতোদিন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং থ্রেডস-এর কনটেন্ট যাচাই করতে তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট-চেকিং ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতো এই প্রতিষ্ঠানটি।

তবে এবার ‘কমিউনিটি নোটস’ নামে নতুন একটি ফিচার চালু করছে, যেখানে সাধারণ ব্যবহারকারীরা তথ্য যাচাই করেই নোট সংযুক্ত করতে পারবেন।

১৭ মার্চ ২০২৫ হতে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন এই ফিচারটি চালু করা হয়। শুরুতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই লাখ ব্যবহারকারী এতে অংশ নিতে পারবেন। তবে নোট যুক্ত করার সুযোগ পাবেন শুধুমাত্র ১৮ বছরের বেশি বয়সী এবং অন্তত ৬ মাসের পুরনো অ্যাকাউন্টধারীরা।

Related Post

এই ‘কমিউনিটি নোটস’ কীভাবে কাজ করবে?

# নির্দিষ্ট কিছু ব্যবহারকারী কোনো পোস্টের সত্যতা যাচাই করে সেখানে ব্যাখ্যা বা নোট সংযুক্ত করতে পারবেন।
# ফ্যাক্ট-চেকারদের পরিবর্তে সাধারণ ব্যবহারকারীরা তথ্য যাচাইয়ের সুযোগও পাবেন।
# পোস্টের বিশ্বাসযোগ্যতাই যাচাইয়ে এই নোটগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
# ব্যবহারকারীরা পোস্টের তথ্য নিয়ে মতামত কিংবা ব্যাখ্যাও দিতে পারবেন।
# মেটার বিশেষ অ্যালগরিদমই এই নোটগুলোর প্রাসঙ্গিকতা বিশ্লেষণ করবে।

এই ফিচারটি মূলত এক্স -এর ২০২১ সালে চালু হওয়া ‘কমিউনিটি নোটস’-এরই অনুরূপ।

কেনো মেটা ফ্যাক্ট-চেকিং পদ্ধতি বদলাতে যাচ্ছে?

মেটার মতে, তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট-চেকিং পদ্ধতিতে স্বচ্ছতার অভাব ও সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। তাই সাধারণ ব্যবহারকারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নতুন এই ব্যবস্থাটি চালু করা হচ্ছে। মেটার বিশ্বাস, এটি বেশি কার্যকর ও দ্রুত তথ্য যাচাই করতেও সক্ষম হবে।

এই পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব তাহলে কী

# ব্যবহারকারীরাই বেশি স্বাধীনতা পাবেন, তারা নিজেরাই তথ্য যাচাই করতে পারবেন।
# ভুয়া তথ্য দ্রুত শনাক্ত এবং প্রতিরোধ করাও সম্ভব হবে।
# এক্স-এর মতো আরও স্বচ্ছ ফ্যাক্ট-চেকিং ব্যবস্থা তৈরিও হতে পারে।

তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে

# রাজনৈতিক কিংবা মতাদর্শগত পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য ছড়ানোর ঝুঁকিও থাকতে পারে।
# কোনো ভুল তথ্য অনেক ব্যবহারকারী সমর্থন করলে সেটি বৈধ বলেি মনে হতে পারে।
# অপব্যবহার ঠেকাতে মেটাকে কঠোর পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থওি করতে হবে।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on মার্চ ২৩, ২০২৫ 10:09 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

শিশু চকোলেট খেতে ভালোবাসে? বাড়িতেই বানিয়ে দিন স্বাস্থ্যকর উপায়ে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুরা চকোলেট খাওয়ার জন্য আবদার করে সব সময়। তবে শরীরের…

% দিন আগে

আসছে মোশাররফ করিমের নতুন সিনেমা ‘কুরবাবু’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত ঈদে মুক্তি পেয়েছে মোশাররফ করিমের চলচ্চিত্র ‘চক্কর’। সিনেমাটি নিয়ে…

% দিন আগে

বাংলাদেশে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) হতে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরু করতে…

% দিন আগে

মানসিক সুস্থতার জন্য বেশি বেতনের চাকরি ছেড়ে ক্যান্টিনে কাজ তরুণীর!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনৈকা তরুণী ২০২২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর একাধিক…

% দিন আগে

অসম্ভব সুন্দর একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৬ চৈত্র ১৪৩১…

% দিন আগে

গরমে হার্টের সমস্যা এড়াতে কামড় দিন পেয়ারায়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটু হাঁটাহাঁটি করলেই দরদর করে ঘাম হচ্ছে। যতোদিন এগোবে, গরম…

% দিন আগে