দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধিতে এই খাত সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ২৩ মার্চ রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজন করে ইফতার।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি, এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বেসিস সহায়ক কমিটি, বেসিস সদস্যবৃন্দ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নেতৃবৃন্দ এবং গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন, যা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান আইসিটি খাতের সংহতি ও উন্নয়নকে আরও সুদৃঢ় করেছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মো. ইমরুল কায়েস পরাগ, সদস্য (প্রশাসন), বেসিস সহায়ক কমিটি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “”বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তরের অন্যতম চালিকা শক্তি হল আইসিটি খাত, এবং সরকার এই খাতের উন্নয়নে বেসিসের মতো সংস্থাগুলোর পাশে রয়েছে। নতুন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি শিল্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি বৃদ্ধি ও দেশীয় প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ সম্ভব হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন নীতিগত সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে একটি প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিতে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী দিনে বাংলাদেশ সফটওয়্যার ও আইটি সেবার একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে আমরা আশাবাদী।”
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আইসিটি খাতের উন্নয়নে সরকার- বেসরকারি অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “”বেসিস বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সরকার এই খাতে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা বিকাশের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, “”বাংলাদেশের আইসিটি পণ্য ও সেবার বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং বেসিস বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এমন নীতিমালা প্রণয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা ডিজিটাল বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করবে।”
বেসিস প্রশাসক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান, বেসিস সম্মানিত অতিথি ও আইসিটি শিল্পের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “”বাংলাদেশের আইসিটি খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে বেসিস নিরলসভাবে কাজ করছে। সরকার, শিল্প নেতৃবৃন্দ এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা ডিজিটাল অর্থনীতির উদ্ভাবন, বিনিয়োগ এবং প্রবৃদ্ধি চালিয়ে যাবে।”
বেসিস সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির বলেন, “”আইসিটি খাতের টেকসই বিকাশের জন্য আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেসিসের এই উদ্যোগ শুধু নেটওয়ার্কিং বাড়াচ্ছে না, বরং আমাদের সদস্যদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে, যা পুরো শিল্পের উন্নয়নে অবদান রাখবে।”
বেসিস নতুন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সম্মিলিত লক্ষ্যকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশের সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতের অগ্রযাত্রায় বেসিস তার অগ্রণী ভূমিকা অব্যাহত রাখতে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org