দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুরা চকোলেট খাওয়ার জন্য আবদার করে সব সময়। তবে শরীরের কথা ভেবে চকোলেট, পেস্ট্রি বেশি না খাওয়ানোই ভালো। তার থেকে বাড়িতেই বানিয়ে দিন স্বাস্থ্যকর চকোলেট।
স্বাস্থ্যকর চকোলেট? তা আবার হয় নাকি? এমনটাই ভাবছেন তো। কোকো পাউডারের সঙ্গে চিনি না মিশিয়েও পুষ্টিকর চকোলেট বানানো সম্ভব। কীভাবে, সেটি জানেন না অনেকেই।
চকোলেট শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও ভালোবাসেন। কেক হোক কিংবা পেস্ট্রি বা ডোনাট চকোলেটের ছোঁয়া থাকলে খাবার ইচ্ছা আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। হয়তো ভাবছেন, সেই সব বাড়িতে তৈরির ঝক্কিও অনেক? তা মোটেই নয়, সন্তানের জন্য চকোলেট বাড়িতেই বানিয়ে দিতে পারেন অনায়াসে।
নানা রকম ফল, মধু দিয়ে চকোলেট বাড়িতে বানানো যায়। তার প্রণালীও খুবই কঠিন নয়। শিখে রাখতে পারেন আপনি।
অ্যাভোকাডো চকোলেট পুডিং
উপকরণ:
১টি গোটা অ্যাভোকাডো
১/৪ কাপ কোকো পাউডার
২ চামচ মধু বা ম্যাপল সিরাম
আধা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
এক চিমটে নুন।
প্রণালী: সমস্ত উপকরণগুলো ব্লেন্ডারে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার ছোট ছোট বাটিতে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন। জমে গেলে উপরে ড্রাই ফ্রুটস এবং সামান্য মধু ছড়িয়ে দিন।
চকোলেট কিনোয়া এনার্জি বল
উপকরণ:
এক কাপ সেদ্ধ কিনোয়া
আধা কাপ পিনাট বাটার
১/৪ কাপ মধু বা ম্যাপল সিরাম
১/৪ কাপ কোকো পাউডার
১/৪ কাপ ড্রাই ফ্রুট্স।
প্রণালী: সমস্ত উপকরণগুলো মিশিয়ে নিন। এরপর গোল গোল করে চকোলেটের মতো গড়ে নিয়ে বায়ুরোধী পাত্রে ভরে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। জমে গেলেই উপরে ড্রাই ফ্রুট্স ছড়িয়ে দিতে হবে। কিনোয়ার চকোলেট শিশুরা চেটেপুটে খাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on এপ্রিল ৮, ২০২৫ 2:48 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্ত্রী চিতা ও তার চার শাবককে পানি খেতে দিচ্ছেন এক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৫ বৈশাখ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী কাজল কখনই তার নামের সঙ্গে কোনো পদবি ব্যবহার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাড়ির বাগানে ফণা তুলে দাঁড়িয়ে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৪ বৈশাখ ১৪৩২…