১০ ফুটের কুমিরের লেজ ধরে টান দিয়ে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা: যুবককে ‘উচিত শিক্ষা’ দিলো কুমির!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, নামিবিয়ার এপালেলায় এটাকা জলাশয়ের পাশে ওই কুমিরটিকে দেখা যায়। কুমিরটিকে দেখতে স্থানীয়রা হুড়োহুড়ি শুরু করেন।

জলাভূমির মধ্যে বিশাল কুমিরকে দেখতে পেয়ে তার লেজ ধরে টানাটানি শুরু করেন। পিঠে হাত রেখে উত্ত্যক্তও করা হয়। তারপরই রেগে গিয়ে যুবকের দিকে তেড়ে যায় ওই কুমিরটি। এমনই একটি ঘটনার ভিডিও সম্প্রতি নেটমাধ্যমে প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি। তবে ঘটনাটি কবে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে তা ওই ভিডিও থেকে স্পষ্ট নয়।

সংবাদমাধ্যম ‘ডেলি মেইল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, নামিবিয়ার এপালেলায় এটাকা জলাশয়ের পাশে ওই কুমিরটিকে দেখা যায়। কুমিরটিকে দেখতে স্থানীয়দের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। এর মধ্যেই পেশায় সীমান্তরক্ষী সিমসন প্যালাস নামে জনৈক যুবক কুমিরটিকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। ১০ ফুট প্রাণীটির লেজ ধরে টানাটানি শুরু করেন তিনি। ওই সময় পিঠেও হাত দিতে থাকেন। তাতেই রেগে যায় কুমিরটি। আর তখন তেড়ে যায় সিমসনের দিকে। এই সময় তার বাঁ হাতে কামড়েও দেয়। সেই ভিডিওই প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় সিমসনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ‘ডেলি মেইল’-এর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়। ভিডিও দেখে নেটিজেনদের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে ওই আহত যুবকের সুস্থতা কামনাও করেছেন। এক নেটিজেন ভিডিও দেখে লিখেছেন, ‘‘কুমির একটি হিংস্র প্রাণী। ওদের এভাবে বিরক্ত করা মোটেও উচিত হয়নি। বুদ্ধিসুদ্ধি নেই নাকি!” তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org