দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বমানের এন্টারপ্রাইজ ক্লাউড সল্যুশন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন ক্লাউড সেবা ব্র্যান্ড ‘বিক্লাউড’ চালু করলো দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক।
দেশের সবচেয়ে বড় ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক প্রদানকারী ফাইবার অ্যাট হোমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পিকো পাবলিক ক্লাউডের সাথে কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই সেবা চালু করা হয়।
রাজধানীর গুলশান ১-এ অবস্থিত বাংলালিংক টাইগারস ডেনে আজ (৩০ এপ্রিল) এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সেবা চালু করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভিওন গ্রুপের সিইও কান তেরজিওগ্লো, বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইওহান বুসে এবং চিফ কর্পোরেট এবং রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান সহ প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এই সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী, পিকো পাবলিক ক্লাউডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আজাদ চৌধুরী এবং ফেলিসিটি আইডিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সারফুল আলম।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কম্পিউটিং, স্টোরেজ, ব্যাকআপ এবং রিকভারি, নেটওয়ার্কিং এবং সাইবারসিকিউরিটি সল্যুশন সহ পরবর্তী প্রজন্মের উপযোগী ক্লাউড সেবার ক্ষেত্রে নিজেদের আইসিটি সক্ষমতা বিস্তৃত করলো বাংলালিংক। এটি এন্টারপ্রাইজের কার্যক্রমের আধুনিকায়ন করতে এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে।
দেশজুড়ে ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করা ও উদ্ভাবন এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই মাইলফলক। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), মেশিন লার্নিং (এমএল) এবং ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওটি) মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
এই বিষয়ে বাংলালিংকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইওহান বুসে বলেন, “প্রতিটি উদ্ভাবনে গ্রাহকদের কেন্দ্রে রাখাই বাংলালিংকের মূলনীতি। একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল অপারেটর হওয়ার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, আমরা দ্রুত পরিবর্তনশীল অর্থনীতির চাহিদা পূরণ করবে এমন উদ্ভাবনী ডিজিটাল সল্যুশন নিয়ে আসার মাধ্যমে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান উভয়কেই সক্ষম করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের এন্টারপ্রাইজ আইসিটি পোর্টফোলিও সম্প্রসারণ এবং এন্টারপ্রাইজের ডিজিটাল সক্ষমতা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বিক্লাউড চালু করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি সংযুক্ত, প্রতিযোগিতাপূর্ণ এবং স্থিতিশীল ডিজিটাল আগামী নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ।”
এসময় ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী বলেন, “বাংলালিংক ও পিকো পাবলিক ক্লাউডের এই অংশীদারিত্ব, বাংলালিংকের গ্রাহককেন্দ্রিক ডিজিটাল সেবা এবং পিকো’র প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে একত্রিত করার মধ্য দিয়ে দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিয়ে আসবে। ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আরও কার্যকর ব্যবসায়িক সমাধান নিশ্চিত করার মাধ্যমে এটি দেশের ডিজিটাল রূপান্তর ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মে ৪, ২০২৫ 3:28 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার কঠোর নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…