দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৯ বছর বয়সি ওই যুবক সম্প্রতি কাবুগ ম্যানগ্রোভ পার্কে ঘুরতে যান। ঘুরে বেড়ানোর সময় একটি জলাভূমিতে কুমিরের একটি ‘মূর্তি’ দেখতে পান।

জ্যান্ত কুমিরকে মূর্তি ভেবে সেলফি তুলতে গিয়েছিলেন! আর সম্বিত ফিরলো কামড় খেয়ে। ৫০টিরও বেশি সেলাই করতে হয়েছে যুবকের গায়ে, হাতে, পায়ে। অদ্ভুত ওই ঘটনা ঘটেছে ফিলিপিন্সের জাম্বোয়াঙ্গা সিবুগে জলাভূমির পর্যটনকেন্দ্র কাবুগ ম্যানগ্রোভ পার্কে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ওই ভিডিওটি। তবে ঘটনাটি কবে ক্যামেরাবন্দি হয়েছে তা ওই ভিডিও থেকে অবশ্য স্পষ্ট নয়।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৯ বছর বয়সি ওই যুবক সম্প্রতি কাবুগ ম্যানগ্রোভ পার্কে ঘুরতে যান। ঘুরে বেড়ানোর সময় তিনি জলাভূমিতে কুমিরের ‘মূর্তি’ দেখতে পান। ‘মূর্তি’টি এতোটাই প্রাণবন্ত দেখাচ্ছিল যে, সেটির সঙ্গে সেলফি তুলতে তিনি পানিতে নেমে পড়েন। তবে ওই যুবক ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে, মূর্তি ভেবে তিনি যার সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়েছেন আদতে সেটি ১৫ ফুট লম্বা একটি জ্যান্ত কুমির। সেলফি তোলার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কুমিরটি লাফিয়ে আক্রমণ করে বসে ওই যুবককে। প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার দেন তিনি। প্রাণীটি তাকে গভীর পানিতে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে যুবককে উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন পার্ক কর্মীরা। ‘পানির রাজা’র সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে যুবককে তার কবল হতে উদ্ধার করেন। সেই ভিডিওই সম্প্রতি প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। জানা গেছে, উদ্ধারের পর রক্তাক্ত ও আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় যুবককে। ক্ষতস্থানে ৫০টিরও বেশি সেলাই পড়েছে ওই যুবকের।
ফিলিপিন্সের এক পুলিশকর্তা ওই ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন নেটমাধ্যমে। একাধিক সংবাদমাধ্যমের এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ওই ভিডিও দেখেছেন। লাইক ও কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে। তবে ওই ভিডিও দেখে নেটিজেনদের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যুবকের নির্বুদ্ধিতা দেখে কঠোর প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন অনেকেই। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org