দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মৃত ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করার কারণ হিসাবে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, এই বয়সে কোনো অবস্থাতেই তিনি নার্সিং হোম কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে জীবন কাটাতে চান না। তাকে দেখাশোনা করতে চান ৩৩ বছর বয়সী তরুণী ওয়াং। সে জন্যই ছেলের বান্ধবীকেই বিয়ে করেছেন তিনি!
প্রতীকী ছবি
৮৬ বছর বয়সে মৃত ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করেছেন এক বৃদ্ধ। ছেলে মারা যাওয়ার দিন কয়েক পরই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাবার এমন সিদ্ধান্তে চটেছেন বৃদ্ধের মেয়ে। এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চীনে।
স্থানীয় একটি সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়াও নামে ওই বৃদ্ধ গুয়াংডং প্রদেশের ফোশানের বাসিন্দা। তার প্রথম স্ত্রী মারা গেছেন ২০২২ সালে। এ বছর লিভারের রোগে ভুগে মারা যান ছেলে। তার এক মাস পরই বিয়াও ছেলের বান্ধবীর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বলে জানা যায়। ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করার কারণ হিসাবে বিয়াও জানিয়েছেন যে, এই বয়সে তিনি নার্সিং হোম কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে কোনো অবস্থাতেই জীবন কাটাতে চান না।
তাঁকে দেখাশোনা করতে আগ্রহী তরুণী ওয়াং। সে জন্যই ছেলের বান্ধবীকে তিনি বিয়ে করেছেন। ছেলের বান্ধবী, যিনি বর্তমানে বিয়াওয়ের স্ত্রী, তার বয়স মাত্র ৩৩। এক বছর আগে ওয়াং বিয়াওয়ের ছেলের সঙ্গে একত্রবাস করতে শুরু করেন। ওয়াঙের দাবি, তিনি তার সঙ্গীর বাবাকে বিয়ে করার জন্য রাজি হন। বৃদ্ধ বয়সে বিয়াওকে নাকি তিনি নার্সিংহোম কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে চাননি।
অপরদিকে, বিয়াওয়ের মেয়ে কিনের দাবি, বাবার সম্পত্তি কব্জা করতেই ওয়াং এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। এই বিয়েতে কিনের এতোটাই আপত্তি ছিল যে, তিনি বাড়িতে এসে ভাঙচুর করেন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। বিয়াওয়ের বাড়িটি তার প্রথম স্ত্রীর নামে। মেয়ে কিন চেয়েছিলেন বাবাকে দূরে কোথাও পাঠিয়ে ওই বাড়িটি ভাড়া দিয়ে দিতে। কিন্তু বিয়াও এই পরিকল্পনায় বাদ সাধেন। তাতে রেগে যান কিন। বিয়াওয়ের দাবি হলো, ওয়াং তার থেকে কোনও অর্থই দাবি করেননি। স্বেচ্ছায় তাকে দেখাশোনা করতে রাজি হয়েছেন বৃদ্ধের ওই তরুণী স্ত্রী। তিনি আরও জানিয়েছেন, যে তার যত্ন নেবেন- তিনি তাকেই উত্তরাধিকারী মনোনীত করবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org